Sylhet Today 24 PRINT

মাদ্রাসা ছাত্ররা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না: নৌমন্ত্রী

সিলিটটুডে ডেস্ক |  ২৩ জানুয়ারী, ২০১৬

নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুরসম্রাট আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিবিজড়িত প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে। হামলা হয়েছে শিল্পকলা একাডেমিতে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদে। এখন নিজের কাছে প্রশ্ন করে দেখেন—কেন মাদ্রাসার ছেলেরা এগুলোতে হামলা করল। কারণ ওরা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।’

শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে বারভিডা কার এক্সপো- ২০১৬-এর উদ্বোধন করতে গিয়ে নৌমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ওরা (মাদ্রাসার ছাত্ররা) বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সাহিত্য সবকিছু ধ্বংস করে ফেলতে চায়। আমরাও বলতে চাই, সবকিছুরই শেষ আছে। আমরা যত দিন পর্যন্ত তাদের নিঃশেষ না করতে পারব, তত দিন আমাদের লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাব। আমরাও ছাড় দেব না।’

পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিজয়ের আনন্দ ক্ষণিকের আর পরাজয়ের গ্লানি সারা জীবনের। আমাদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তান তা প্রমাণ করেছে।’

একেকজন মানবতাবিরোধীর ফাঁসি কার্যকরের পরে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ায় এটা প্রমাণিত যে, তারা আসলেই এ দেশে পাকিস্তানের চর ছিলেন। ওই সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান মানবতাবিরোধীদের বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন, ফোন করেন। করবেনই তো। কারণ তাঁর চাচা হলেন আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী, যিনি ১৯৭১-এ বাংলাদেশে গণহত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।’

শাজাহান খান বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল যে, পাকিস্তান তাদের ১৯৫ জন সেনার বিচার করবে, যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ওই সেনাদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তান কথা রাখেনি। আমরা আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন শুরু করেছি। প্রয়োজনে ওই সেনাদের অনুপস্থিতিতে তাদের বিচার হবে। ১৯৭০ সালে এ দেশে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অনুদানের টাকাও পাকিস্তান দেয়নি। সেটি এখনো পাকিস্তানের হাবিব ব্যাংকে রয়েছে। সে টাকাও ফেরত আনা হবে।

গত বছরের শুরুতে নাশকতার সময় দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পরিবহন শ্রমিকদের ভূমিকার প্রশংসা করে শাজাহান খান বলেন, ‘গত বছর মুক্তিযুদ্ধের মতো আরেকটি যুদ্ধ করেছে আমার ড্রাইভার-হেলপার ভাইয়েরা। ৯৪ দিন টানা হরতাল, পেট্রলবোমা ও ককটেলের মধ্যেই দেশকে শান্ত করতে তাঁরা জীবন বাজি রেখেছেন। মারা যেতে পারেন জেনেও তাঁরা গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন। নাশকতার আগুনে পুড়ে ৯২ জন চালক-হেলপার নিহত হয়েছেন। যদি শহীদ উপাধি কাউকে দিতেই হয় তবে তাঁদের দিতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, গত বছর টানা ৯৪ দিন জ্বালাও পোড়াও হয়েছে। পেট্রলবোমা ছুড়ে দেওয়ার পরে সেই যানবাহনের যাত্রীদের কী পরিণতি হবে, তা ভাবেননি তাঁরা। তিনি বলেন, ‘তবুও আমি আনন্দিত যে খালেদা জিয়া ওই রক্তাক্ত পথ থেকে ফিরে এসে ভোটের কথা বলছেন।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.