ডেস্ক রিপোর্ট | ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ধার্য তারিখে হাজির না হওয়ায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কপি গুলশান থানায় পৌঁছেছে এবং খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বাইরে পুলিশী নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার দূর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এদিকে, আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বেড়েছে, যেখানে গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। অবরুদ্ধ দশা থেকে দৃশ্যত মুক্ত হলেও গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে গুলশানের ওই কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সেখানে ঢোকা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সদস্যরা।
কার্যালয়ের ছোট ফটকটির বাইরে আগে এসবির তিনজন সদস্য থাকতেন। বুধবার দুপুরের পর থেকে সেখানে পাঁচজনকে দেখা যাচ্ছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও কার্যালয়ের আশপাশে রয়েছেন। গোয়েন্দা পুলিশের একটি মাইক্রোবাসও সেখানে দেখা যাচ্ছে। পোশাকধারী পুলিশের অবস্থান রয়েছে কার্যালয়ের ডান দিকে এবং ৮৬ নম্বর সড়কের দুই পাশে ব্যারিকেডের কাছে। কে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকছে, কে বের হচ্ছে, তাদের ভিডিও চিত্রও ধারণ করছে পুলিশ।
খালেদা জিয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর ইতোমধ্যে পেয়েছেন বলে ওই কার্যালয়ে থাকা তার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আদালতের সর্বশেষ আদেশের বিষয় ম্যাডামকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি আইনজীবীরা দেখছেন। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়াও তারা দিয়েছেন, দেবেন।”
দশম সংসদ নির্বাচনের বছর পূর্তিতে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি পুলিশের বাধায় কার্যালয় থেকে বের হতে না পারে সেখানে অবস্থান নেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এরপর ওই কার্যালয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে পুলিশ। কয়েকদিন বাদে পুলিশি বেষ্টনি সরিয়ে নেওয়া হলেও কার্যালয় ছাড়েননি খালেদা। মালয়েশিয়া থেকে ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের লাশ এলে কার্যালয়ে থেকেই ছেলেকে শেষ বিদায় জানান তিনি।
কয়েকদিন ওই কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের ঢোকা-বের হওয়া অবাধ হলেও ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। সেখানে আত্মীয়-স্বজনের দেওয়া খাবার ছাড়া অন্য যে কোন খাবার ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়ার স্বজন ছাড়া আর নেতা-কর্মীদের কাউকে সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ।