সিলেটটুডে ডেস্ক | ২৬ মার্চ, ২০১৬
অবসর গ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়ালেও আনন্দ নিয়েই দেশের সেবা করছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করি, এই ৮৩ বছর বয়সেও আমি দেশসেবায় নিযুক্ত আছি। যদিও অবসর গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এটা একটা আনন্দ। দেশসেবা একটা মহা আনন্দের বিষয়। সেই আনন্দের জোরে আমি এখনো সক্ষমভাবে চলছি। আমার এর চেয়ে বড় পাওয়া হতে পারে না।’
শুক্রবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ‘স্বাধীনতা উত্সব-২০১৬’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা দিবসের ৪৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি এম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, রাশিয়ান চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. আনাতোলী ওয়াই ডেবিডুকো, নেপালি দূতাবাসের প্রতিনিধি সুশীল কে. লাংশান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুল আহাদ চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের দিনটা আমাদের জন্মদিন। ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে ২৫ মার্চ রাতেই পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও বীর বাঙালির প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও আমাদের জন্ম হয়েছে। এদিনে অনেক কথাই মনে আসে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের জন্য শোষণের বিরুদ্ধে। আমরা চেয়েছি, আমাদের জীবন যাতে নিজেদের ইচ্ছামতো গড়ে তুলতে পারি। তাতে যখন বাধা এলো, তখনই মুক্তিযুদ্ধের সূচনা।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের প্রজন্মের খুব আফসোস হয়। আমরা আক্ষেপ করে বলি, কেন আমরা যুদ্ধ করতে পারলাম না। এ আফসোসটা সারা জীবন থাকবে। তবে আমরা আরেকটা জিনিস নিজেদের মধ্যে তৈরি করে নিয়েছি, সেটি হলো আমাদের যুদ্ধটা হবে সোনার বাংলা গড়ে তোলার যুদ্ধ।’
অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশগুলোর হাইকমিশনার, রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আমন্ত্রিত অতিথি এবং বিভিন্ন দূতাবাস ও হাইকমিশন থেকে আসা অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।