Sylhet Today 24 PRINT

জঙ্গিদের ঠাঁই জাহান্নামে : প্রধানমন্ত্রী

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৭ জুলাই, ২০১৬

পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে জঙ্গিদের উদ্দেশে বলেছেন, এদের ঠাঁই জাহান্নামে হবে। এরা কোনোদিন বেহেশত পাবে না। এটা কোরআন শরীফেরই বিধান। কারণ, নিরীহ ও নিরস্ত্র তথা কোনো মানুষকে হত্যা করা কোরআন সমর্থন করে না।

তিনি বলেন, জঙ্গিরা কোনোভাবেই রেহাই পাবে না। ঈদের দিনে যারা মানুষ হত্যা করে তারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) গণভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে শোলাকিয়ায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের উপর সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি ।

প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী। জঙ্গিরাই জঙ্গি। এদের কোনও ধর্ম নাই, দেশ নাই। জঙ্গি আর সন্ত্রাসী হিসেবেই এরা দেশের মানুষের কাছে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঘৃণিত বস্তু হিসেবে পরিচিত। ’

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিষয়ে সজাগ ও সচেতন হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কিছু হারাবার নেই। আপনাদের পাশে আছি। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করতে এসেছি। মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব। মানুষকে একটা উন্নত জীবন দেবো। শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে।’

ইসলামের নামে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অন্য ধর্মের কাছে ইসলাম ধর্মকে অবমাননাকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়া এটা কখনও আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই সচেতন থাকেন, নিজেদের ওপর আস্থা রাখেন ও বিশ্বাস রাখেন। আমরা অবশ্যই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী, আমাদের অভিযান সফল হবে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সরকার সবকিছুই করবে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’

জঙ্গিবাদকে কেউ মদদ দিলে তার দায় তাকেই নিতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলও আমাদের সঙ্গে আছে। সবারই এ বিষয়ে ভূমিকা রয়েছে। আর যদি কেউ আন্তর্জাতিকভাবে এর প্রশ্রয় দেয় আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এর দায়ভার নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময়ে গ্রাম, ইউনিয়ন, জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করে এই বিপথগামীদের চিহ্নিত করে তাদের প্রতিহত করার নির্দেশ দেন। অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সন্তানদের কেউ যদি বিপথগামী হয়, তাহলে যেন তারা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।’

শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন,আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক,সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর উপদেষ্টা পরিষদ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা, আমন্ত্রিত অতিথি এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় কূটনীতিকদের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শেখ হাসিনা।

এছাড়া সামজের দুস্থ শ্রেণীর মানুষও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সুযোগ পেয়েছেন। গণভবনে দুস্থদের জন্য চারটি আলাদা ডেস্কও খোলা হয়েছে। এখানে তারা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া জানাতে পারবেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.