সিলেটটুডে ডেস্ক | ২৬ নভেম্বর, ২০১৬
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ লক্ষ্যে তিনি পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
এ সময় জাপা চেয়ারম্যান শুধু তার দলের লিখিত প্রস্তাব তুলে ধরেন। তবে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।’
তবে গত ৪৫ বছরেও এ সংক্রান্ত কোনো আইন হয়নি। ২০১২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সব দলের সঙ্গে আলোচনা ও সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ অভিযোগ করেন, এ প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ কমিশন গঠিত হয় না।
ইসি গঠনে স্থায়ী সমাধান হিসেবে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন নিয়োগে আইনি কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে এবং বর্তমান সংসদেই এই আইন পাস করতে হবে। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ-প্রক্রিয়াকে যদি আমরা একটি আইন কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে পারি, তাহলেই কেবল কমিশন নিয়োগ বিতর্কমুক্ত হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, 'দেশে নিরপেক্ষ ব্যক্তি পাওয়া খুব কঠিন। নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে যদি একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা যায়, তাহলেই কেবল কমিশন নিয়োগ বিতর্কমুক্ত হতে পারে।'
সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ জানান, নির্বাচন কমিশনের আলাদা সচিবালয় থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে নিরপেক্ষতা, সততা, ন্যুনতম ও সর্বোচ্চ বয়স, পেশাগত যোগ্যতা, নির্বাচন সংক্রান্ত জ্ঞান, দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত না থাকাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
এছাড়া নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারের আনুপাতিক হারে সংসদ গঠনের দাবি পুনঃব্যক্ত করে করেন এরশাদ
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাপার কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, এ কে এম মাঈদুল ইসলাম এমপি প্রমুখ।