সিলেটটুডে ডেস্ক | ১৯ আগস্ট, ২০১৮
বিএনপি চাইলে জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচারও করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের 'বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দ্রুত বিচার' দাবিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যা, যুদ্ধাপরাধী সকলের বিচার হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারও হবে। এমনকি বিএনপি চাইলে জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচারও করা হবে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে এই হত্যা মামলায় ৫২ জন আসামির মধ্যে ১৭ জন পলাতক। প্রত্যেককে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শুনানিতে ২ শ ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ মামলার তদন্তে অনেক কিছু বেরিয়ে এসেছে। হামলার পেছনের ষড়যন্ত্রের কথাও জানা গেছে।
তিনি বলেন, বিশেষ আদালতে চলা মামলায় এখন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের যুক্তিতর্ক চলছে। আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ আগস্ট পরবর্তী যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য রাখা হবে। অপেক্ষা করছি, আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই রায় হবে।
তিনি বলেন, এই রায় হলে বাংলাদেশ আরেক বার দায়মুক্ত হবে। বর্তমান সরকার আইনের শাসনের বিশ্বাসী, তাই সব হত্যা মামলার বিচার করবে।
বাংলাদেশকে পাকিস্তান রাষ্ট্রে পরিণত করাই জিয়াউর রহমানের আসল উদ্দেশ্য ছিল মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া আরেক ধাপ এগিয়ে। সেই ষড়যন্ত্রের পথ ধরেই ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে, বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য।
আইনমন্ত্রী বলেন, আগামীতে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। কোন দল নির্বাচনে আসবে কি আসবে না সে জন্য নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এটা হতে পারে না। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই এবারও শেখ হাসিনার সরকারকে জয়ী করাতে সবাইকে আহ্বানও জানান আনিসুল হক।
মন্ত্রী আরও বলেন, যখনই বাংলাদেশ মাথা তুলে দাঁড়াতে চায়, বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তখনই একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে। সেই মহল বিএনপি। কারণ তারা জনগণের দল নয় এরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার দল। এছাড়া বিদেশের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক নষ্ট করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।