Sylhet Today 24 PRINT

রাজ্জাকের ‘বোধোদয়’ কি নতুন কৌশল?

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়ে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে যিনি আইনি লড়াই চালিয়েছেন, সেই আব্দুর রাজ্জাক একাত্তরে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়ে দল ত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
জামায়াতের দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কার্স পার্টির কয়েকজন নেতা বলেছেন, ব্যারিস্টার রাজ্জাকের এই বিলম্বিত বোধোদয়কে তারা ‘ইতিবাচক’ হিসেবেই দেখতে চান।

তবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল এবং দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে আদালতে যাওয়া তরিকত ফেডারেশন বলছে, রাজ্জাকের এতদিনের অবস্থান থেকে তার জামায়াত ছাড়ার ঘোষণা ‘অবিশ্বাস্য’।

অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টায় এটা জামায়াতের কোনো কূটকৌশল কি না- সেই প্রশ্নও এসেছে রাজনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে।  

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবশ্য জামায়াতের একজন আইনজীবীর দল ছাড়ার খবরকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ওই দলের নিষিদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় আছেন তারা।

জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রধান আইনজীবী হিসেবে তিন বছর মামলা লড়ার পর ২০১৩ সালে হঠাৎ করেই দেশ ছাড়েন যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্বধারী রাজ্জাক। সেখান থেকেই শুক্রবার দলের আমি ম কবুল আহমদের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।  
 
সেখানে তিনি লিখেছেন, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করার জন্য জামায়াতে ইসলামী ‘জনগণের কাছে ক্ষমা না চাওয়ায়’ এবং একবিংশ শতাব্দির বস্তবতার আলোকে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে বিবেচনায় এনে ‘দলের সংস্কার করতে’ ব্যর্থ হওয়ায় তার এই সিদ্ধান্ত।

একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের স্বাধীনতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করতে রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে বিভিন্ন দল গঠন করে জামায়াত নেতারা লিপ্ত হয়েছিলেন যুদ্ধাপরাধে।

সে সময় হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের মত অপরাধের দায়ে জামায়াতের সাত শীর্ষ নেতার সাজা হয়েছে আদালতে, তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।

একাত্তরের সেই ভূমিকার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বানে কখনোই সাড়া দেননি জামায়াত নেতারা। রাজ্জাকের আগে আর কেউ দলের সেই অবস্থানের জন্য অনুতাপও কখনও প্রকাশ করেননি।

পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, “যে কোনো রাজনৈতিক দল, ইতিহাসের কোনো এক পর্বে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ত্রুটি-বিচ্যুতির শিকার হতে পারে। কিন্তু তাকে ক্রামাগত অস্বীকার করে, সেই সিদ্ধান্ত ও তার ফলাফল মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অনড় অবস্থান বজায় রাখা শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয় বরং আত্মঘাতী রাজনীতি। তা কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।”

তার ভাষায়, একাত্তরের ভূমিকার জন্য জামায়াত জাতির কাছে ক্ষমা চাইলে তা হবে একটি ‘ঐতিহাসিক অর্জন’।

ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দল জামায়াতের কাঠামোগত সংস্কারের দাবি নিয়েও এর আগে এত স্পষ্ট বক্তব্য দেননি দলটির কোনো নেতা।

১৯৮৬ সালে দেশে ফিরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে সক্রিয় রাজ্জাক বলেছেন, “কয়েকটি দেশে ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে গঠিত মধ্যমপন্থি দলগুলো সফলতা অর্জন করেছে। এই পরিবর্তনের বাতাস যদিও এখনও বাংলাদেশের গায়ে লাগেনি, কিন্তু সময় এসেছে আমাদের পূর্বপুরুষের তৈরি ইসলামি রাষ্ট্রের ধারণায় কোনো পরিবর্তন আনা যায় কি না, তা নিয়ে নতুন প্রজন্মের গভীরভাবে চিন্তা করার।”

রাজ্জাকের পদত্যাগের কারণ বা তার দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য জামায়াতের পক্ষ থেকে আসেনি। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন,দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা রাজ্জাকের সিদ্ধান্তে তারা ‘ব্যথিত, মর্মাহত’।

রাজ্জাকের পদত্যাগ ও এর কারণ নিয়ে জামায়াতের জোটসঙ্গী বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

তবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেছেন, “আমি এটাকে খুব পজিটিভলি দেখছি। আমি মনে করি রাজ্জাক সাহেব দেরিতে হলেও তার এ উপলব্ধি ও ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন- খুব ভালো দিক। আমি বিশ্বাস করব, জামায়াতে ইসলামীর সকলেই তা-ই করবে; দল হিসেবেও তারা তা-ই (ক্ষমা চাইবে) করবে।”

জামায়াত সত্যি সত্যি মানবতাবিরোধী মতবাদে বিশ্বাসী না হয়ে থাকলে অনেক আগেই তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা, যদিও তার সহকর্মীদের অনেকে বরাবর জামায়াতের পক্ষে বলে এসেছেন।

মাহবুব বলেন, “বিএনপি যখন জোটে জামায়াতকে রেখেছিল- আমি স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বার হিসেবে সব সময় বলে আসছি- না, তারা স্বাধীনতাবিরোধী দল; তারা মুক্তিযুদ্ধে অনেক মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড রয়েছে।ৃ তাদেরকে কখনও আমরা ধানের শীষ প্রতীক দিতে পারি না। তাদেরকে কখনও আমরা আমাদের ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে নিতে পারি না।”

এই বিএনপি নেতার বিশ্বাস, জামায়াতকে জোট থেকে বের করে দিলে বিএনপিই উপৃকত হবে। আর তাতে জামায়াতেরও লাভ হতে পারে।   

“রাজ্জাক সাহেবের একার কথায় তো হবে না। পুরো দলকেই এটা করতে হবে। দল হিসাবেও জমায়াতের ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাংলাদেশের মানুষ অনেক বড় উদার, বড় মনের মানুষ। তারা চাইলে ক্ষমা করবে।”

পদত্যাগের কারণ হিসেবে যে যুক্তি রাজ্জাক দেখিয়েছেন, তাতে মোটেও চমকিত নন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

তিনি বলেন, “আমি তো মনে করি জামায়াতের নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের মধ্যে এ উপলব্ধি অনেক দিন ধরেই রয়েছে। যুদ্ধাপরাধের নেতৃত্বে যারা ছিল, মানবতাবিরোধী অপরাধে যারা ছিল, তারাই এটা হতে দেয়নি। এখনও হতে দিচ্ছে না।”

রাজ্জাকের পদত্যাগ জমায়াতের মধ্যে নতুন মেরুকরণের পথ তৈরি করবে, নতুন ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলেই মহাজোটের শরিক নেতা মেননের বিশ্বাস।

তিনি বলেন, “সেটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য ভালো হবে বলে আমি মনে করি। আমার মনে হয়, এটা তাদের কোনো কৌশল না। রাজ্জাক আগে থেকেই এটা ধারণ করতেন; এখন প্রকাশ্যে বললেন। তবে এটাকে দলের অবস্থান বলা যাচ্ছে না। রাজ্জাকের কথা এটুকু বলতে পারি, গণমাধ্যমে যা দেখছি- এটা পজিটিভ মুভ নিশ্চয়ই।“

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের রিট আবেদনেই হাই কোর্ট ছয় বছর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে। দল হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি নিয়েও আদালতে গেছে তরিকত।

আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী এ দলের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, “এ (রাজ্জাকের) উপলব্ধি নিয়ে মূল্যায়নের কিছু নেই। আমরা জামায়াত ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখব।”

তিনি বলেন, “রাজ্জাক জামায়াত থেকে সরে গেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। উনি নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রেখেছেন। দেশের বাইরে জামায়াতের যে যোগাযোগ, কোটি কোটি টাকার লেনদেন, তা রাজ্জাক সাহেবের মাধ্যমে হচ্ছে।”

নজিবুল বশরের দাবি, জামায়াতকে নিয়ে তাদের মামলা তোলার জন্য ‘শত শত কোটি টাকা’ সেধেছিলেন রাজ্জাক।

“সেই রাজ্জাক সাহেব আবার দলের ক্ষমা চাওয়ার কথা বলছেন। এটা তাদের রাজনীতির জন্য একটা চাল। উনি দেশে ফিরে আসতে চাচ্ছেন। জাময়াতকে নতুনভাবে সংগঠিত করতে চাচ্ছেন। পুরনোগুলোকে বাদ দিয়ে নতুনদের নিয়ে সংগঠিত করবেন। এটাকে ভালো চোখে দেখার কোনো কারণ দেখি না।“

জামায়াত আর বিএনপির সঙ্গে জোটে থাকছে না বলে যে খবর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এসেছে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তরিকত চেয়ারম্যান।

তিনি কলেন, “এসব কৌশলমাত্র। তারা এক জায়গাতেই রয়েছে, আগের জায়গায়। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলার জন্য একটা চক্রান্ত। তারা একটু গুছিয়ে নিয়ে আঘাত করবে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আগামীতে তারা বড় ধরনের মরণ কামড় দেবে। সরকারকেও এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলব।”

রাজ্জাকের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে নজিবুল বশর বলেন, “জামায়াতের একাত্তরের ভূমিকার জন্যে উনি (রাজ্জাক) পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু উনি নিজে ক্ষমা চেয়েছেন কিনা, উনি নিজ তো ক্ষমা চাননি।”

ব্যারিস্টার রাজ্জাক দেশে ফিরলেই যেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে সেই দাবি রেখেছেন তরিকতের প্রধান।

রাজ্জাকের পদত্যাগের খবরের প্রতিক্রিয়ায় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, “আমি যতটুকু জানি, যতটুকু পরিচয় আমার রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই উনি একটা মতবাদ বিশ্বাস করতেন। একাত্তরে তাদের ভূমিকা ঠিক ছিল না। উনি আগেও এটা বলেছিলেন। যে কোনো কারণেই হোক আগে থেকে তিনি যেটা বিশ্বাস করতেন, তা থেকে পদত্যাগ করেছেন।”

এর পেছনে জামায়াতের কোনো কৌশল আছে কি না- সেই প্রশ্নে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন জি এম কাদের।

“বাস্তবতাকে উনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন; উনার সিদ্ধান্তের প্রভাব দলেও পড়বে। তবে এটা কৌশল কিনা আমি এ মুহূর্তে বলতে পারব না। দেশের মানুষের চাওয়া, বাস্তবতা, দলের অনেকের প্রত্যাশা- এসব বিষয় হয়ত উনি বিবেচনা করেছেন।”

জামায়াতের প্রথম সারিতে এখন যারা আছেন, তাদের বেশিরভাগই স্বাধীনতার পরের প্রজন্মের বলে মুক্তিযুদ্ধকালীন দলের অবস্থানের দায় নিতে চান না বলে জি এম কাদেরের ধারণা।

তিনি বলেন, “তাদের মধ্যে একটা মতবাদ তৈরি হয়েছে হয়ত এটা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন ধারায় রাজনীতি করবে। জামায়াতের এখন নিবন্ধন নেই; তাদের আনুষ্ঠানিক সক্রিয় অবস্থান নেই। কিন্তু অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের মানুষ তো আছে; দীর্ঘদিনের সমর্থকগোষ্ঠী রয়েছে। শক্তি হয়ত কমেছে, কিন্তু ‘নেই’ তো বলা যাবে না। পরবরর্তীতে তাদের রাজনীতি কোন দিকে মোড় নেয় তা দেখার বিষয়।”

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “জামায়াতের একজন ব্যক্তি স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, তার কোনো পজিশন রয়েছে কিনা জানি না। ব্যক্তির এ বক্তব্য- এটা ইম্পর্টেন্ট বিষয় নয়, যুদ্ধাপরাধীদের একজন আইনজীবী বলেই জানতাম।”

নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে নাসিম বলেন, “আমরা স্পষ্ট বলছি- জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ওদের ইন্ডিভিজুয়াল কোনো স্টেটমেন্টের গুরুত্ব নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হয়ে গেলে নিষিদ্ধ হবে। তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।”

নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, ক্ষমা চেয়ে নাম বদলে ফেললেও জামায়াত- জামায়াতই থাকবে।

“বিষয়টা আদর্শের। তারা তো বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে কখনো স্বীকারই করেনি।ৃ নাম পাল্টে নতুনভাবে আভির্ভূত হলেও তাদের অবস্থান পরিবর্তন হবে না। আমার তো মনে হয় কৌশল হিসেবে ক্ষমার কথা বলতে চাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “জামায়াত যুদ্ধাপরাধী দল, অবশ্যই এ দলটিকে নিষিদ্ধ করা উচিত। ক্ষমা তো অবশ্যই চাইতে হবে। কিন্তু আমরা ক্ষমা করবো কিনা? তারা তো ক্ষমার যোগ্য না।”

নাসিমুন আরার মতে, জমায়াতকে কেবল দল হিসেবে নিষিদ্ধ করলে হবে না, তাদের আদর্শটাকেই নিষিদ্ধ করতে হবে। দেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.