Sylhet Today 24 PRINT

যুবলীগ চেয়ারম্যানের গণভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা!

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৭ অক্টোবর, ২০১৯

যুবলীগের সপ্তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৩ অক্টোবর। এর আগে দিকনির্দেশনা নিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা। তবে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুবলীগের বিতর্কিত নেতারা সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। পদ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগের কারণে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীও সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

যুবলীগের একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্মেলন সামনে রেখে আগামী রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসবে যুবলীগ। তবে শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী, যুবলীগ চেয়ারম্যানসহ সংগঠনের বিতর্কিত নেতাদের সে বৈঠকে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

২০ অক্টোবর গণভবনে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার (১৬ অক্টোবর) বৈঠকে বসেছিলেন যুবলীগের শীর্ষ নেতারা।

এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যুবলীগের যাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের ২০ অক্টোবরের বৈঠক থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুবলীগের চেয়ারম্যান ছাড়াও সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হওয়ায় তাকেও বৈঠক থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ গণমাধ্যমে বলেন, চেয়ারম্যান (যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী) যেহেতু অনেক দিন ধরে নিষ্ক্রিয়, তাই তিনি সম্ভবত গণভবনে যাবেন না। এর চেয়ে বেশি আমি আর কিছু বলতে পারব না।

এর আগে, সর্বশেষ ২০১২ সালে যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে যুবলীগ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান ওমর ফারুক চৌধুরী। এরপর বিভিন্ন সময় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি অনেককে পদ-পদবী দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গণভবনের বৈঠক শুধু নয়, এর আগে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে ওমর ফারুক চৌধুরীকে ছাড়াই।

এদিকে, তার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তার দেশত্যাগেও ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

জানা গেছে, যুবলীগের দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানকে দিয়ে সব টাকা সংগ্রহ করা হতো।

অভিযানের মুখে সেই আনিসের এখন হদিস মিলছে না। এর মধ্যে আনিসকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। অন্যদিকে, যারা টাকার বিনিময়ে পদ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে পরে অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রমাণ পেয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ‘মনস্টার’ সম্বোধন করে তাদের পদ থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সভায় যুবলীগের কিছু নেতার কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.