Sylhet Today 24 PRINT

মার্কিন দূতাবাসের সমালোচনায় জয়

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২৬ অক্টোবর, ২০১৯

মার্কিন দূতাবাস জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীদের ঘাঁটি বলে মন্তব্য করে এর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

মঙ্গলবার ঢাকার র‌্যাডিসন হোটেলে তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন জয়। আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সিআরআই আয়োজিত ‘ইয়ুথ অন পলিটিকস, আ সেশন অব ইয়াং বাংলা উইথ সজীব ওয়াজেদ’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানটি শুক্রবার টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, যখনই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ভালোর দিকে যাচ্ছে, তখনই কিছুকিছু শ্রেণি কিছু কিছু দূতাবাস (ষড়যন্ত্র করে)। আমি দেশের কথা বলবো না, শুধুমাত্র এ দেশে থাকা তাদের দূতাবাস এখানে বসে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করে। বিশেষত মার্কিন দূতাবাস। আর তাদের উদ্দেশ্য কী? তারা কিন্তু একটি শক্তিশালী সরকার চায় না। তারা চায় একটা ছোটখাটো সরকার থাকবে, যাদেরকে তারা হুকুম করবে আর সেই সরকার দূতাবাসের হুকুমে চলবে।

তিনি মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে তার হওয়া অভিজ্ঞতার কথা উপস্থিত তরুণদের জানাতে গিয়ে বলেন, যখনই মার্কিন দূতাবাসের কোনো অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছি, ওখানে জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধী থাকবেই। তারা (মার্কিন দূতাবাস) দাওয়াত করবেই। মার্কিন দূতাবাস হয়ে গেছে জামায়াতের ঘাঁটি, যুদ্ধাপরাধীদের ঘাঁটি। আর তারা এদের সঙ্গে মিলে সব সময় ষড়যন্ত্র করতে থাকে। আমরা কি চাই এমন একটা নতজানু সরকার, যারা দূতাবাসের হুকুম অনুসারে চলবে, এমন সরকার কি আমরা চাই?'

অনুষ্ঠানে তরুণদের দেশ গঠনে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা শোনেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সেখানে থাকা তরুণদের দেশ গঠনের পথে সৃষ্টি হওয়া বিভিন্ন বাধা এবং সেই বাধা উৎরে এগিয়ে যাওয়া বিষয়ে পরামর্শও গ্রহণ করেন তিনি।

বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও ঢাকায় বিভিন্ন দেশের দূতাবাস কেন বিবৃতি দিল, সে প্রশ্ন তোলেন জয়।

ওই ঘটনায় ব্যাখ্যা চেয়ে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি এবং ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে প্রিয়া সাহা বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ তোলার পর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রিয়ার ওই বক্তব্যের পেছনে মার্কিন দূতাবাসের ‘দুরভিসন্ধি’ ছিল বলে সন্দেহ প্রকাশ করে এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “মার্কিন দূতাবাস যে আওয়ামী লীগবিরোধী তা নতুন কিছু নয়। তাদের সকল অনুষ্ঠানেই জামাত নেতাকর্মীরা ও যুদ্ধাপরাধীরা নিয়মিত আমন্ত্রিত হতেন। প্রিয়া সাহার মিথ্যা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে তাদের সরাসরি আধিপত্য বিস্তারের ষড়যন্ত্র পরিষ্কারভাবেই লক্ষ করা যাচ্ছে।

“সৌভাগ্যবশত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সরকার অন্যান্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার নীতিতে বিশ্বাসী নন। তারা এই ধরনের ভয়ংকর মিথ্যা দাবি বিশ্বাস করার মতন বোকাও নন।”

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.