শ্রমিক লীগের সভাপতি মন্টু, সম্পাদক খসরু

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি পদে ফজলুল হক মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক পদে আজম খসরু নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কার্যকরী সভাপতি হিসেবে আবুল কালাম আজাদের নাম ঘোষণা করা হয়।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের মিলনায়তনে জাতীয় শ্রমিক লীগের ১৩ তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেন।

এরআগে সকালে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বিকেল তিনটায় দ্বিতীয় অধিবেশন বসে। সেখানে সারা দেশ থেকে আগত কাউন্সিলররা সভাপতি পদে ৭ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১২ জনের নাম প্রস্তাব করেন।

তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রার্থীদের মধ্যে সমন্বয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তারা একজন নেতা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনীত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।

শুরুতে সভাপতি হিসেবে প্রস্তাবনা আসে হাবিুর রহমান, ফজলুল হক মন্টু, জহুরুল ইসলাম চৌধুরি, মোল্লা আবুল কালাম আজাদ, সিরাজুল ইসলাম, নূর কুতুব আলম ও ইদ্রীস আলী ভূইয়ার পক্ষে এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রস্তাবনা আসে অ্যাড. হুমায়ূন কবির, মকর আলী, মো. আমিনুল ইসলাম, আলহাজ্ব আজাদ আলী খান, সুলতান আহমেদ, আমীর খসরু, অ্যাড. আখতারুজ্জামান শাহীন, আজম খসরু, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুল হালিম, মো. শাহাব উদ্দিন ও মোল্লা আবুল কালাম আজাদ’র পক্ষে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহউদ্দিন নাছিম, সহ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। শুরু থেকেই এটি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে থাকলেও বর্তমানে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে কাজ করছে।

২০১২ সালের ১৯ জুলাই সংগঠনের সর্বশেষ সম্মেলনে শ্রমিক নেতা শুক্কুর মাহামুদ সভাপতি, ফজলুল হক মন্টু কার্যকরী সভাপতি এবং সিরাজুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।