সংবাদ বিজ্ঞপ্তি | ১১ এপ্রিল, ২০২১
সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান সাবেক সহকারী এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু।
রোববার (১১ এপ্রিল) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জবাসীর ন্যায্য দাবি-দাওয়া ও অনগ্রসর শিক্ষা খাত নিয়ে সংসদে কথা বলতে চাই। শিক্ষিত সমাজের বিদেশমুখী প্রবণতার রোধ করে প্রশিক্ষিত যুব সমাজ তৈরিতে কাজ করতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে সেই ছাত্রজীবন থেকে কাজ করে আসছি। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জাতীয় ক্রীড়াবিদ বশির আলীর সন্তান। আমার পরিবারের অনেক সদস্যই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ওয়ান ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মামলায় আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ছিলাম। সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলতে এবং তাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায়ে নির্বাচন করতে চাই। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ যেন তাদের মৌলিক অধিকার পায় সেদিকেই জনপ্রতিনিধিদের খেয়াল রাখতে হয়। চা শ্রমিক থেকে শুরু করে সকল পেশার মানুষের সন্তান যেন পড়ালেখার সুযোগ পায় আমি সে লক্ষেই কাজ করবো।
মন্টু বলেন, এলাকায় সামাজিক কাজের সাথে আমি দীর্ঘদিন থেকে জড়িত। সুযোগ পেলেই ঢাকা থেকে এলাকায় ছুটে আসি। সরকার আমাকে যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছিলেন সেটি আমি যথাযথভাবে পালন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশে যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে জাতিকে কলংকমুক্ত করেছেন। আমি সেখানে কাজ করতে পেরেছি। দলের সকল দুঃসময়ে আমি সাহসী ভূমিকা রেখেছি। দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জবাসীর সাথে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সুখে-দুঃখে সর্বদা পাশে ছিলাম। ভবিষ্যতেও থাকব। ১৯৮৪ সাল থেকে ছাত্রলীগের কাজ করার মধ্য দিয়ে আমার রাজনীতির সূচনা। যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনের প্রাক্তন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।
অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু বলেন, আমি ফেঞ্চুগঞ্জ এনজিএফএফ স্কুল থেকে এসএসসি, সিলেট সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) এল এল এম ডিগ্রি লাভ করি। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে প্যারা লিগ্যাল কোর্স সম্পন্ন করে আইন পেশায় যোগ দেই। বাংলাদেশের সহকারী এটর্নি জেনারেল হিসেবে দীর্ঘ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থাকাকালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জাতীয় চার নেতা হত্যা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ অনেক উল্লেখযোগ্য মামলায় লড়েছি।
আব্দুর রকিব মন্টু আরও বলেন, সিলেট মধুবন আন্দোলন, সিলেট বিভাগ আন্দোলন, ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানা রক্ষা আন্দোলন, সার কারখানায় স্থানীয়দের অন্তর্ভুক্তি আন্দোলন, নদী ও হাওড় রক্ষা আন্দোলন, প্রবাসীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার আন্দোলন, গণদাবী পরিষদের বিভিন্ন ন্যায্য আন্দোলনেও তিনি সোচ্চার ছিলেন। তিনি এলাকার যুব সমাজকে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি ও দুর্নীতিমুক্ত করতে এবং নারীদের সুরক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ করেছেন।