Sylhet Today 24 PRINT

থিসিসে চুরি ঠেকাতে জাফর ইকবালকে নিয়ে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৫ আগস্ট, ২০২২

উচ্চ শিক্ষায় গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) চুরি ঠেকাতে নীতিমালা প্রণয়নে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই কমিটিকে খসড়া নীতিমালা তৈরি করে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাবির কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন মো. তারেক, ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক নাকিব মো. নাসরুল্লা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, বুয়েটের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রধান মাহবুবা নাজনীন, বুয়েটের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তফা আকবর। এই কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান।

গতকাল রোববার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান (লিংকন)। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

আদেশের পর রিটকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান (লিংকন) সারাবাংলা বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষায় গবেষণা জালিয়াতি রোধে নীতিমালা প্রণয়নে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান। এই কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে উচ্চ শিক্ষায় গবেষণা জালিয়াতি রোধে খসড়া নীতিমালা তৈরি করে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।’

এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি উচ্চ শিক্ষায় গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) জালিয়াতি রোধে পদক্ষেপ নিতে ঢাবি ও ইউজিসিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরপর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল’ শিরোনামে ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান (লিংকন)।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি কিভাবে অনুমোদন করা হয়, তা খতিয়ে দেখে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ইউজিসিকে নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল’— এ বিষয়ে তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ অনুসারে ঢাবি ও ইউজিসি আদালতে প্রতিবেদন দেন।

এরপর ঢাবির পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) জালিয়াতি রোধে ঢাবি ও ইউজিসির কাছে এ বিষয়ে পদক্ষেপ জানতে চান আদালত। পরে ঢাবি ও ইউজিসি এ বিষয়ে কমিটি গঠন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

সে বিষয়ে শুনানির ধারাবাহিকতায় আজ আদালত উচ্চ শিক্ষায় গবেষণা জালিয়াতি রোধে নীতিমালা প্রণয়নে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.