বিশেষ প্রতিনিধি: | ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সব সময়ই মেধাবী শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ভরপুর। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সৃষ্টিশীল আরুণ্য এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। শিক্ষা জীবন শেষে মেধার বিকাশ পরিক্রমায় তারা পেশাগত কিংবা চাকুরী সূত্রে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। তাদের একাংশ বিভিন্ন দপ্তরে মৌলভীবাজারে জ্ঞানের দীপশিখা জ্বালিয়ে যাচ্ছেন। এই সব আলোকিত মানুষের পারস্পারিক মেলবন্ধনের তাগিদ অনুভব করেন অধ্যাপক মো. সেলিমসহ কতিপয় বিচক্ষণ গুণীজন।
হৃদয়ানুভূতিতে জমানো শব্দ, বাক্য ও পংক্তিমালা প্রকাশের মানসে ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করা সাবেক শিক্ষার্থী যারা মৌলভীবাজারে বসবাস ও অবস্থান করছেন তাদের সমন্বয়ে উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে গঠন করা হয় ডি-ইউ এক্সস্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন মৌলভীবাজার।
এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাবির প্রাক্তন ছাত্র মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জাহিদ আক্তার।
উপস্থিত একে একে সকলের পরিচয় পর্ব শেষে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন ঢাবির সাবেক ছাত্র, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া।
একই প্রতিষ্ঠানের এক সময়ের কৃতি ছাত্র প্রভাষক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার সরকারী কলেজের প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ঢাবির আশির দশকের শিক্ষার্থী মো. সেলিম, সহযোগী অধ্যাপক হাফেজ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ওসমানি, সহযোগী অধ্যাপক মহিব উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক তারিফুজ্জামান ভূঁইয়া, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শাহ গিয়াস উদ্দিন, শিক্ষিকা আয়েশা শাহনাজ, গবেষণা কর্মকর্তা, মো. মুরতুজা হোসাইন, ব্যাংকার আছাদুজ্জামান খান, প্রভাষক মহসিন মিয়া, শিপন মিয়া, ব্যাংকার আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলা পুলিশ সুপারের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ডি-ইউ এক্সস্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন মৌলভীবাজার এর পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক কমিটির ৫ সদস্য হলে- ঢাবির এক সময়ের মেধাবী শিক্ষার্থী মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান (আহ্বায়ক), সহকারী অধ্যাপক তারেকুজ্জামান সদস্য সচিব ও সদস্যরা হলেন প্রফেসর মো. সেলিম, সাংবাদিক নূরুল ইসলাম ও পূবালী ব্যাংকের আইন কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান খান।
কমিটির সকল সদস্যদের নিয়ে আগামী নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে আকর্ষণীয় স্পটে বনভোজন আয়োজনের জন্য কমিটির সদস্যবৃন্দকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বনভোজনের দিন কমিটির পাঁচ সদস্যসহ সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে আরও ৫-৬ জন বয়েসী বিশিষ্ট ব্যক্তি এক সাথে বসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে পিকনিকে অংশ গ্রহণকারী সকলের সামনে উপস্থাপনের দায়িত্ব দেওয়া হয় আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে।