সংবাদ বিজ্ঞপ্তি | ১৫ এপ্রিল, ২০১৮
উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে নববর্ষকে বরণ করল সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ১ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) সিলেট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সকাল ৮টায় বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের প্রশিক্ষণার্থীরা মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরপর শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে দুপুর দেড় টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন ও ঢাকের বাদ্যের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ উৎসবের শুভ সূচনা ঘটে।
হাজারো মানুষের ঢল, মুহুর্মুহুর করতালি, বর্ণিল আয়োজন এবং গান, আবৃত্তি ও নৃত্যের মূর্ছনায় মুখরিত ছিল শিল্পকলা প্রাঙ্গণ। বাহারি রকমের বর্ণিল সাজে শিল্পকলাকে দৃষ্টি নন্দিত করেছে একাডেমির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা যা ছিল চোখে পড়ার মতো।
জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্তের সভাপতিত্বে উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৈশাখী উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএমপি সিলেটের উপ পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্য ব্যক্তিত্ব ভবতোষ রায় বর্মণ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী।
বৈশাখী উৎসবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিসি নর্থ ফয়সল মাহমুদ, সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজাম মুনীরা, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য শামসুল আলম সেলিম, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত প্রমুখ।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে ছিল বৈশাখের গান, লোকসংগীত, ধামাইল, কাঠিনৃত্য, ঝুমুর নৃত্য, লোকনৃত্য, সম্মেলক সংগীত, বৃন্দ আবৃত্তি, একক ও দলীয় সংগীত। উৎসবে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত শিশু ও সাধারণ, নৃত্য শিশু ও সাধারণ, আবৃত্তি বিভাগের পরিবেশনায় উপস্থাপিত হয় সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তির দলীয় পরিবেশনা। পরিচালনায় ছিলেন অরুণ কান্তি তালুকদার, পূর্ণিমা দত্ত, শান্তনা দেবী, শিনিয়া সাহা ঝুমা, প্রসেনজিৎ দে (শিপলু) ও জ্যোতি ভট্টাচার্য।
আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে একক সংগীত পরিবেশনায় ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুষমা দাস, জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, নিরঞ্জন দে, লাভলী দেব, শামীম আহমদ, প্রতীক এন্দ, আফসানা জামান চৌধুরী, তন্বী দেব ও পলা দাশ গুপ্ত (জুঁই)।
আমন্ত্রিত সংগঠন হিসেবে দলীয় পরিবেশনা উপস্থাপনায় ছিলেন জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, গীতবিতান বাংলাদেশ, আরকুম শাহ শিল্পীগোষ্ঠী, অন্বেষা শিল্পীগোষ্ঠী, একাডেমী ফর মনিপুরী কালচার এন্ড আর্ট, ছন্দনৃত্যালয়, নবারুণ শিল্পীগোষ্ঠী, মুক্তাক্ষর, সুরাঞ্জলি, নাট্যম, কথন আবৃত্তি সংসদ ও দলদলী চা বাগানের শিল্পীবৃন্দ।