নেপাল এম্বেসীর চার্জ দ্যা এফেয়ার্সের সাথে সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

নেপাল এম্বেসীর চার্জ দ্যা এফেয়ার্স মি. ধান বাহাদুর অলি’র সাথে সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ২টায় দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে চেম্বার বোর্ড রুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ।

সভায় নেপাল এম্বেসীর চার্জ দ্যা এফেয়ার্স মি. ধান বাহাদুর অলি বলেন, নেপাল বাংলাদেশের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র। সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। নেপালের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়শোনা করছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, পর্যটন খাতে বাংলাদেশ ও নেপাল দুইটি দেশই বিপুল সম্ভাবনাময়। দুই দেশের পর্যটন সম্পর্ক বৃদ্ধিতে আমাদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে। ২০২০ সালকে নেপাল সরকার পর্যটনবর্ষ ঘোষণা করেছে। আমরা এবছর সারাবিশ্ব থেকে ২ বিলিয়ন পর্যটক নেপালে ভ্রমণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের অগ্রণী ভ‚মিকা পালনের আহবান জানান।  

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, সিলেট বাংলাদেশের প্রকৃতিকন্যা ও পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত। সিলেট চেম্বার অব কমার্স দীর্ঘদিন থেকে সিলেটের পর্যটন খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন সময়ে দেশী-বিদেশী মিশন ও প্রতিনিধিদলের সাথে অনেকগুলো মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছি। বর্তমান সরকারও পর্যটন খাতের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে নেপালে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য, কনজ্যুমার আইটেম ও ঔষধ রপ্তানী হয়ে থাকে। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো সহজ করা গেলে বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। তাই তিনি বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য অনএরাইভ্যাল ভিসার পাশাপাশি স্টিকার ভিসা চালুর জন্য নেপাল এম্বেসীকে অনুরোধ জানান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন নেপাল দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারী মি. দিল্লি প্রসাদ আচার্য্য, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুদ আহমদ চৌধুরী, সহ সভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক মো. সাহিদুর রহমান, মো. ওয়াহিদুজ্জামান (ভূট্টো), মুশফিক জায়গীরদার, আব্দুর রহমান, চন্দন সাহা, মো. আব্দুর রহমান (জামিল), মো. আতিক হোসেন, মুজিবুর রহমান মিন্টু প্রমুখ।