সিলেটটুডে ডেস্ক | ৩০ অক্টোবর, ২০১৯
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য দেবাশীষ সেন অ্যাডভোকেটের মৃত্যুতে সিলেটে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির ২ নং হলে এই শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জামিলুল হক জামিলের সভাপতিত্বে যুগ্ম সম্পাদক শংকর লাল দাস ও জোহরা জেসমিনের সঞ্চালনায় তাৎক্ষণিক আয়োজিত শোক সভায় বক্তারা বলেন, প্রয়াত দেবাশীষ সেন একজন সদাহাস্য, সদালাপী, বিনয়ী, বন্ধুবৎসল এবং ধার্মিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তার মৃত্যুতে সিলেটের আইনজীবীরা একজন প্রতিথযশা আইনজীবীকে হারালো। এই ক্ষতি পূরণ হবার নয়।
শোক সভার শুরুতে পবিত্র গীতা পাঠ করেন ড. দিলীপ কুমার দাস চৌধুরী। পরে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে শোক সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমদ। সভায় প্রয়াত অ্যাডভোকেট দেবাশীষ সেনের স্মরণে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি মো. জামিলুল হক জামিল।
শোক সভায় প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য দেন সিনিয়র আইনজীবী মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, আব্দুল খালিক, পংকজ কুমার রায়, দেওয়ান গোলাম রব্বানী চৌধুরী, মো. রাজ উদ্দিন, এ.কে.এম. শমিউল আলম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৩০ অক্টোবর) ভোর ৫:৩৭ মিনিটে সিলেটের পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন অ্যাডভোকেট দেবাশীষ সেন । প্রয়াত দেবাশীষ সেন এডভোকেট ১৯৪৩ সনের ১৮ ডিসেম্বর সিলেট জেলার সদর থানার নয়াসড়ক এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাহার পিতা মৃত রাজকুমার সেন রাজা জি.সি. হাই স্কুলের একজন শিক্ষক ছিলেন এবং মাতা প্রাণলতা সেন একজন ধার্মিক, গৃহিনী এবং শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি পিতামাতার তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী করে ১৯৫৯ সনে রাজা জি.সি.হাইস্কুল থেকে মেট্রিক, মদনমোহন কলেজ থেকে ১৯৬১ সনে উচ্চ মাধ্যমিক ও সরকারি এম.সি. কলেজ থেকে ১৯৬৩ সনে স্নাতক, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সনে স্নাতকোত্তর ও ১৯৬৭ সনে এলএল.বি ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৬৮ সনে বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত হয়ে একই সনে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতিতে অ্যাডভোকেট হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০১৮ইং সনে আইনপেশায় ৫০ বৎসর পূর্ণ করেন।
প্রয়াত অ্যাডভোকেট দেবাশীষ সেন ১৯৭২ সনে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সমাজ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে এবং ১৯৭৭ সন হইতে ১৯৮০ সন পর্যন্ত এসিসটেন্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (এ.পি.পি.) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।