Sylhet Today 24 PRINT

ব্যবসায়িকে মিথ্যে মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সিলেটের গোলাপগঞ্জে হৃদরোগে আক্রান্ত প্রবাস ফেরত এক ব্যবসায়ীকে রাজনৈতিক ও বিস্ফোরক মামলায় অযথা হয়রানি করা হচ্ছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গোলাপগঞ্জের আমনিয়া গ্রামের গৃহবধু আসমা বেগম এঅভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আসমা বেগম আরও বলেন- অজ্ঞাত কারণে পুলিশ তাকে জেলে দিয়ে অসহায়ত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে তার পরিবার। রক্ত ও চিকিৎসাভাবে ধুকে ধুকে মরছে থ্যালাসেমিয়া রোগী তার একমাত্র কন্যা সন্তানটি।

ব্যবসায়িক শত্রুদের ষড়যন্ত্রে পুলিশ তাকে বারবার হয়রানী করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আসমা বেগম আরও বলেন, গোলাপগঞ্জের আমনিয়া গ্রামের হেলাল আহমদ দীর্ঘপ্রায় ১৫ বছর মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী ছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তার বাইপাস সার্জারীও করা হয়। একপর্যায়ে প্রবাসে থাকা সম্ভব না হওয়ায় তিনি দেশ ফিরে আসেন। এসময় তার একমাত্র কন্যাসন্তান নাবিলাও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। শিশুকন্যা নাবিলাকে বাঁচাতে প্রতিমাসে তাকে রক্ত দিতে হয়।

‘দেশে ফেরা উপার্জনহীন হেলাল আহমদ পরিবার ও মেয়ের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের নিমিত্তে গত জুলাই মাসে সরকারী অনুমতিতে উপজেলার আমনিয়া বাজারে একটি জ্বালানী তেলের দোকান খোলেন। আর তখন এ ব্যবসাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।  প্রতিপক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বি লোকজন তার ব্যবসায়িক উন্নতি বরদাশত করতে না পেরে তাকে সারা জীবনের জন্য জেলে পুরিয়ে রাখার ফন্দি আটেন। ষড়যন্ত্র করে গাড়ি ভাংচুরের একটি রাজনৈতিক মামলায় (গোলাপগঞ্জ থানার মামলা নং-০৫(১)১৫) তাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করায়’।

আসমা বেগম আরও বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত ৩২ আসামীর মধ্যে তার নাম না থাকলেও প্রবাস ফেরত অরাজনৈতিক এ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করিয়ে জেলে দেয়া হয়। এ মামলায় হেলাল জামিনে বেরিয়ে এলেও ফের তাকে ফাসানো হয় বিস্ফোরক আইনের আরেক রাজনৈতিক মামলায়।

আসমা বেগম বলেন, গত ২৫ জুন রমজান মাসে হেলাল আহমদ বাজারে বিদুৎ না থাকায় দোকান খোলা রেখে তারাবির নামাজে চলে যান। নামাজ থেকে ফিরে এসে দেখতে পান তার দোকানে একদল পুলিশ। এসময় পুলিশ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দোকানে পলিব্যাগে পেট্রোল বোমা রেখে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে তার বিরেুদ্ধে আরেকটি মামলা ( নং-১৩(৬)১৫) দায়ের করে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা উভয় মামরার বাদী হচ্ছেন গোলাপগঞ্জ থানার এস আই নুনুমিয়া।

আসমা বেগমের অভিযোগ, ব্যবসায়িক হিংসার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বি ও প্রতিপক্ষ লোকজনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ পুলিশ অফিসার তার বিরুদ্ধে সাজানো এ মামলা দায়ের করেন এবং মিথ্যেভাবে তাকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার করে হয়রানী করছেন।

আসমা বেগম একমাত্রশিশু কন্যাকে বাঁচাতে ও পরিবারের অসহায়ত্ব লাঘবে তার স্বামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যে মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার ও তার স্বামীর আশু মুক্তি দাবি করেন। এ ব্যাপারে তিনি বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমনিয়া বাজার কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুল মনাফ, সেক্রেটারী আমিন আলী। বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছিলেন খসরুজ্জামান, ইমাদ উদ্দিন, রফিকুল হক ও শফিকুল হক প্রমূখ।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.