Sylhet Today 24 PRINT

ঘরের মাঠে অদম্য বার্সেলোনা, নাপোলিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে

স্পোর্টস ডেস্ক |  ০৯ আগস্ট, ২০২০

স্প্যানিশ লা লিগা জিততে না পারা বার্সেলোনার সামনে কেবল ইউরোপ সেরা হওয়ার সুযোগ। মৌসুমের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলতে মরিয়া কিকে সেতিয়েনের দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে নাপোলি ছিল সামনে। ইতালিয়ান এই ক্লাবটি স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। ঘরের মাঠে অদম্য বার্সেলোনার দেখা মিলল আরেকবার। নাপোলিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেছে বার্সা। নাপোলির মাঠে প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। দুই লেগ মিলে ৪-২ অগ্রগামিতায় শেষ আটে জায়গা করে নেওয়া বার্সেলোনা সামনে কোয়ার্টার-ফাইনালে এখন জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ।

স্প্যানিশ দলটির হয়ে একটি করে গোল করেন লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেস ও ক্লেঁমো লংলে। নাপোলির হয়ে ব্যবধান কমান লরেন্সো ইনসিনিয়ে। চারটি গোলই হয় প্রথমার্ধে।

দ্বিতীয় মিনিটে সুযোগ এসে যায় নাপোলির সামনে। চোট শঙ্কা কাটিয়ে শুরু থেকে খেলা ইনসিনিয়ের ক্রস দুই জনের গায়ে লাগার পর ফাঁকায় পেয়ে যান ড্রিস মের্টেন্স। ঠিক মতো শট নিতে পারেননি তিনি, তবুও হতে পারতো গোল। কিন্তু পোস্টে লেগে ফিরলে হতাশ হতে হয় সফরকারীদের।

নাপোলির আক্রমণের ঝাপটা সামলে ধীরে ধীরে আক্রমণে যায় বার্সেলোনা। দশম মিনিটে এগিয়েও যায় স্বাগতিকরা। ইভান রাকিতিচের কর্নারে চমৎকার হেডে জাল খুঁজে নেন লংলে।

দুর্দান্ত এক গোলে ২৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। সুয়ারেসের ক্রস পাওয়ার সময় তার সামনে ছিলেন নাপোলির দুই খেলোয়াড়, পরে যোগ দেন আরেক জন। ঘেরাও থেকে বল নিয়ে বের হতে গিয়ে পড়ে যান মেসি, তবুও নিয়ন্ত্রণ হারাননি। ততক্ষণে ছুটে আসেন প্রতিপক্ষের আরও কয়েক জন, তবুও কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুজে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি বার্সেলোনা অধিনায়কের।

চলতি আসরে এটি তার তৃতীয় গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় মেসির এটি ৩০ ম্যাচে ২৭তম গোল। প্রতিযোগিতাটিতে তার মোট গোল হলো ১১৫টি। ইউরোপ সেরার মঞ্চে এ নিয়ে ৩৫ দলের বিপক্ষে জালের দেখা পেলেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ দলের বিপক্ষে গোল করেছেন রোনালদো।

সাত মিনিট পর আবারও বল জালে পাঠিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু রাকিতিচের ক্রস বুক দিয়ে রিসিভ করার সময় বল তার হাত স্পর্শ করায় ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল দেননি রেফারি।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সফল স্পট কিকে ব্যবধান বাড়ান সুয়ারেস। কালিদু কলিবালি মেসিকে ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি।

কিছুক্ষণ পর মের্টেন্সকে রাকিতিচ ফাউল করলে পেনাল্টি পায় নাপোলি। সফল স্পট কিকে ব্যবধান কমান ইনসিনিয়ে। প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে ব্যবধান আরও কমানোর সুযোগ এসেছিল ইতালিয়ান দলটির সামনে। কোনোমতে রক্ষা পায় বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে স্বাগতিকদের চেপে ধরে নাপোলি। ৫২তম মিনিটে সুযোগও এসে যায়। তবে খুব কাছ থেকে গোলরক্ষক বরাবর হেড করে দলকে হতাশ করেন ইনসিনিয়ে।

প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে খেই হারাচ্ছিলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। এরই মধ্যে ৭০তম মিনিটে বদলি নামার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দারুণ একটি সুযোগ পেয়ে যান নাপোলির ইয়েরভিং লোসানো। কিন্তু হেড লক্ষ্য রাখতে পারেননি তরুণ এই ফরোয়ার্ড।

৮১তম মিনিটে চমৎকার হেডে জাল খুঁজে নেন আর্কিদিউস মিলিক। কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় গোল দেননি রেফারি। বাকি সময়ে বার্সেলোনাকে প্রবল চাপে রাখে সফরকারীরা। কিন্তু জালের দেখা আর মেলেনি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.