স্পোর্টস ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০
মুশফিকুর রহিম; সিনিয়র ক্রিকেটার, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, ব্যাটসম্যান, উইকেটরক্ষক এবং চলমান বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়কও। যেকোনো দলের দলের প্রাণভোমরা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মাঠ ও মাঠের বাইরের দায়িত্বশীল এই ক্রিকেটার আজ সোমবার ক্রিকেট মাঠে জন্ম দিয়েছেন অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনার।
এবার প্লে অফের ম্যাচে সতীর্থ নাসুম আহমেদের দিকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তেড়ে আসেন মুশফিকুর রহিম।
প্লে অফের ম্যাচে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৯ রানে জিতেছে মুশফিকের ঢাকা। নিশ্চিত করেছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। কিন্তু ওই জয় ছাড়িয়ে আলোচনায় মুশফিকুর রহিমের অক্রিকেটার সুলভ আচরণ।
ঘটনাটা ঘটে ফরচুন বরিশালের ইনিংসের ১৭তম ওভারে। ঢাকার বোলার শফিকুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরে করা বলটি শট নিতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন আফিফ হোসেন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা আফিফের ওই ক্যাচটি নিতে ছুটে আসেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। মুশফিকুর রহিমও ছুটে যান ক্যাচটি নিতে। কিন্তু কেউ কাউকে ক্যাচটি নেওয়ার জন্য কল করেননি।
শেষ পর্যন্ত মুশফিকুর রহিমই ক্যাচটা নেন। এরপরই ঘটে অবাক করা ঘটনাটি। মুশফিক হাতের বল নিয়েই তেড়ে যান নাসুমের দিকে। যেন বলটা ছুঁড়ে মারতে চান তরুণ ওই ক্রিকেটারের গায়ে। অন্য ক্রিকেটাররা আফিফের আউট উদযাপন করতে আসলেও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করেননি মুশফিক। বরং রাগ ঝাড়তে থাকেন নাসুমের ওপর। মুশফিকের ওই ক্ষোভ বিনা বাক্যব্যয়ে মাথা নিচু করেই হজম করেন নাসুম।
১৩তম ওভারে আরেকবার নাসুমের ওপর চড়াও হন মুশফিক। নিজের বোলিংয়ে ফিল্ডিং করতে দেরি করায় আগেও একবার মুশফিকের বকা খান নাসুম।
বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ শেষ ধাপে এসে এর আগে বাংলাদেশ দলের পেসার সাইফউদ্দিন সতীর্থ আনিসুল ইমনের ওপর চড়াও হয়েছিলেন।
ম্যাচ শেষে ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এমন আচরণের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান মুশফিক। ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান আছেন দুই আম্পায়ারের (গাজী সোহেল ও মাহফুজুর রহমান) রিপোর্টের অপেক্ষায়। তিনি বলেছেন, ‘আচরণবিধি অনুযায়ী নিজ দলের ও প্রতিপক্ষের কোনো খেলোয়াড়কে কেউ অসম্মান করতে পারবে না। এটা দৃষ্টিকটু। আম্পায়াররা ঘটনা খতিয়ে দেখবেন। আম্পায়ার রিপোর্ট দেখার পর বলা যাবে কী সিদ্ধান্ত। এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আমার কাছে কিছু আসেনি।’