Sylhet Today 24 PRINT

সিলেট সুপারস্টারসের লজ্জার রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক |  ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৫


আগের ম্যাচে বরিশাল বুলসকে উড়িয়ে দেওয়া সিলেট সুপারস্টারসকে মাটিতে নামিয়েছে রংপুর রাইডার্স। ছোট লক্ষ্য পেয়ে সাকিব আল হাসানের দল জিতেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

নিজেদের আগের ম্যাচে বরিশাল বুলসকে ৫৮ রানে অলআউট করে সিলেট। বিপিএলের তিন আসর মিলিয়ে এটাই সর্বনিম্ন রান।

বিপিএলে সবচেয়ে কম ওভারে অলআউটের রেকর্ড গড়েছে সিলেট। এর আগে এই বিব্রতকর রেকর্ড ছিল সিলেট রয়্যালসের। ২০১৩ সালের আসরে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ১৩.৫ ওভারে ৭৪ রানে অলআউট হয়েছিল তারা।

সিলেটকে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে রংপুর। তাদের জয়ে শেষ চারে পৌঁছেছে দিনের প্রথম ম্যাচে হারা বরিশাল বুলসও। এর আগে প্রথম দল হিসেবে শেষ চার নিশ্চিত করে মাশরাফি বিন মুর্তজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আরাফাত সানি, মোহাম্মদ নবি ও সাকিবের দারুণ বোলিংয়ে ১১ ওভার ৫ বলে ৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট। বিপিএলে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান।

জবাবে ৯ ওভার ৫ বলে দুই উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২ রানের ভেতর দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারায় রংপুর। লেন্ডল সিমন্স ও সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে দেন সিলেটের পেসার মোহাম্মদ শহীদ।

আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় জহুরুল ইসলামকে (৯*) নিয়ে বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শহীদ দুই উইকেট নেন ১৮ রানে।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই দিলশান মুনাবিরাকে হারায় সিলেট। আরাফাত সানির বলে ড্যারেন স্যামিকে সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মুনাবিরা। পরের বলে বোল্ড হয়ে যান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

ফিরতি ক্যাচ নিয়ে নিজের পরের ওভারে জুনায়েদ সিদ্দিককে ফেরান আরাফাত। সাকিবকে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরুটা দারুণ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু আরাফাতের তৃতীয় ওভারে অযথা রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে তিনিও ফিরে গেলে চাপে পড়ে সিলেট।

নিজের তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাতে নুরুল হাসান ও অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে ফিরিয়ে সিলেটকে বিপদে ফেলেন সাকিব। ছটফট করতে থাকা নুরুল মিড অফে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেন। সাকিবের বলে চার হাঁকানো আফ্রিদি ফিরে যান এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হয়ে। টানা চার ওভার বল করা আরাফাত নিজের শেষ ওভারে বোল্ড করেন নাজমুল হোসেনকে।

সিলেটের আশা বাঁচিয়ে তখনও ক্রিজে ছিলেন রবি বোপারা। থিসারা পেরেরার বলে তিনি এলবিডব্লিউ হয়ে গেলে সিলেটের লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়ার আশা এক রকম শেষ হয়ে যায়।

কিছু রান করার সামর্থ্য ছিল সিলেটের টেল এন্ডারদের। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে সাফল্য পাননি তারাও। দশম ওভারের শেষ বলে আব্দুর রাজ্জাক যখন নবিকে উইকেট দিয়ে আসেন তখন সিলেটের স্কোর ৯ উইকেটে ৪৩ রান।

সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জা থেকে সিলেটকে বাঁচান সোহেল তানভির। একমাত্র তিনিই দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন। একটি করে ছক্কা-চারের সাহায্যে ২০ রান করেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার।
জোড়া আঘাতে তানভির ও রুবেল হোসেনকে ফিরিয়ে ৮.১ ওভার আগেই সিলেটের ইনিংস থামিয়ে দেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার নবি।

১৪ রানে চার উইকেট নিয়ে রংপুরের সেরা বোলার আরাফাত। নবি তিন উইকেট নেন ১৫ রানে। অধিনায়ক সাকিব ২৫ রানের খরচায় নেন ২ উইকেট।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.