স্পোর্টস ডেস্ক | ১৩ মে, ২০২২
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর ইউরোপের সবচেয়ে সফল স্প্যানিশ ক্লাবটিকে প্রায় একাই টানছেন করিম বেনজেমা। রোনালদোর বিদায়ের পরের মৌসুমে সেভাবে সাফল্য পাননি ঠিক, কিন্তু এবারের মৌসুমে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এ ফরাসি ফরোয়ার্ড।
রিয়ালকে লা লিগা জিতিয়ে এবার চোখ তার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপার দিকে। ফাইনালে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। ইতোমধ্যে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোল করা হয়ে গেছে তার, লা লিগায়ও একই।
কাল রাতে লেভান্তের বিপক্ষে ম্যাচে আরও একটি গোল করেছেন বেনজেমা। এনিয়ে লা লিগায় তার গোল হলো ২৭টি, আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৩ ম্যাচে ৪৩ গোল।
এই পারফরম্যান্সের পথ ধরে আরও এক মাইলফলক ছুয়েছেন বেনজেমা। রিয়ালের কিংবদন্তি ফুটবলার রাউল গনজালেসের পাশে বসেছেন বেনজেমা। ভাগ বসিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনেও।
রোনালদো রিয়ালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক ‘অ্যাসিস্ট’ তার। আর বেনজেমা রিয়ালের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা কিন্তু অ্যাসিস্টে সর্বোচ্চ।
লেভান্তের বিপক্ষে কাল ৬-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। ১৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ভিনিসিয়াসের ক্রসে গোল করে রাউলকে ধরে ফেলেন বেনজেমা। রিয়ালের ইতিহাসে শীর্ষ তিন গোলদাতার তালিকাটা দাঁড়াল এমন—রোনালদো (৪৫০), বেনজেমা (৩২৩) ও রাউল (৩২৩)। বেনজেমাকে রাউলের আগে রাখারও সংগত কারণ আছে। রিয়ালের ‘ঘরের ছেলে’কে তিনি টপকে যাবেন, সে কথা বলাই বাহুল্য। কে জানে, নাগালে পেয়ে যেতে পারেন রোনালদোকেও! বেনজেমার ৩৪ বছর বয়স সে ক্ষেত্রে বড় বাধা হতে পারে।
সম্প্রচারমাধ্যম সাইরিয়াসএক্সএম-কে কালকের ম্যাচের আগে বলেছেন আনচেলত্তি, ‘বেনজেমাকে শুধু সেন্টার ফরোয়ার্ড বলতে আমার অসুবিধা হয়। রোনালদো যাওয়ার পরই করিম একজন নেতা হয়ে উঠেছে।’
১৯৯৪ থেকে ২০১০ পর্যন্ত রিয়ালে ৭৪১ ম্যাচ খেলে ৩২৩ গোল করেছিলেন রাউল। বেনজেমা (৬০৩ ম্যাচ) ১৩৮ ম্যাচ কম খেলেই তাকে ধরে ফেললেন।
রোনালদো রিয়ালে থাকতে ৪১২ ম্যাচে ১৯২ গোল ছিল বেনজেমার। রোনালদো রিয়াল ছাড়ার পর এ পর্যন্ত ১৯১ ম্যাচে বেনজেমার গোলসংখ্যা ১৩১।