Sylhet Today 24 PRINT

ব্যাটে ঝড় লঙ্কানদের, ম্যাচে আছে বাংলাদেশও

স্পোর্টস ডেস্ক |  ২৪ মে, ২০২২

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ভালোই জবাব দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। দুরন্ত উদ্বোধনী জুটি ম্যাচে রেখেছে তাদের। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তোলা রানের চাকায় অবশ্য পিষ্ট হতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে মূলত এবাদত হোসেন ও সাকিব আল হাসানের কল্যাণে। এ দুজন নিয়েছেন একটি করে উইকেট। সাকিবের নেওয়া উইকেটটির বিশেষত্ব মূলত শেষ বিকেলের আঘাতের কারণেই!

মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪৩ রান। তৃতীয় দিন শুরু করবেন ৭০ রানে অপরাজিত থাকা লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। তার সঙ্গী হবেন নাইট ওয়াচম্যান কাসুন রাজিথা (০*)। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২২২ রানে এগিয়ে আছে।

এরআগে মধ্যাহ্ন বিরতির পর বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৩৬৫ রানে। এই রানের মধ্যে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ১৭৫, লিটন দাসের ১৪১। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ৩৬৫ রানের ৩১৬-ই মুশফিক ও লিটনের। বাংলাদেশের মোট রানের ৮৬.৫৭ শতাংশই এ দুই ব্যাটসম্যানের। তাতে আরেকটি বিশ্ব রেকর্ডেরও মালিকও হয়ে গেলেন মুশফিক ও লিটন। ১৪৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে দল অলআউট হয়েছে, এমন ইনিংসে শতকরা হিসাবে সবচেয়ে বেশি রান তাদেরই।

সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ৩৬৫ রান তোলে স্বাগতিকরা। লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম অসাধারণ জুটি গড়েন। তাদের জুটি থেকে আসে ২৭২ রান। ২৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট পড়ার পরে বিশ্বসেরা জুটি গড়েন। ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এছাড়া যেকোন উইকেটে দেশসেরা চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের জুটি দেন।

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে প্রথম দিন লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ক্যারিয়ার সেরা ১৩৫ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করে লিটন ফিরে যান ১৪১ রানে। একই ওভারে শূন্য করে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন। আগের দিন ১১৫ রান করা মুশি তখন দেড়শ’ রান পাননি। তাইজুল তাকে সঙ্গ দেওয়ায় রান বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন দেশ সেরা টেস্ট ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত সঙ্গীর অভাবে ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকতে হয় তার।

মুশফিক-লিটনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের দিনে মিরপুরের ফ্ল্যাট এবং স্পিন সহায়ক উইকেটে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন দুই লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথা এবং আসিথা ফার্নান্দো। তারা বাংলাদেশের ৯ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এর মধ্যে রাজিথা নেন পাঁচ উইকেট। মিরপুরে আট বছরের মধ্যে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে ফাইফারের রেকর্ড গড়েন।

এই টেস্টে বাংলাদেশের ছয়-ছয়জন ব্যাটার শূন্যরানে আউট হয়েছেন। ছয় শূন্যের সঙ্গে দুই সেঞ্চুরি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবার ঘটল এমন ঘটনা।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.