সম্প্রতি কর ফাঁকির মামলায় বার্সেলোনার আদালতে অনুষ্ঠিত শুনানিতে যোগ দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এবার দীর্ঘ সময় ঝুলে থাকা কর ফাঁকি ও জালিয়াতি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান তারকা অবশ্য আগেও একবার শুনানির সম্মুখীন হয়েছিলেন।
স্পেনের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালতের আইনজীবীদের অভিযোগ, সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় নেইমারের যোগ দেওয়ার মূল ট্রান্সফার ফি লুকিয়েছিলেন নেইমার নিজে ও তার বাবা।
ব্রাজিলের একটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান নেইমারের ক্রীড়া স্বত্বের ৪০ শতাংশের মালিক। আর তাই ব্রাজিল অধিনায়কের বার্সেলোনার যোগ দেওয়ার মূল ট্রান্সফার ফি গোপন করায় তাদেরকে ঠকানো হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির দাবি।
আগের সাক্ষাৎকারগুলোতে নেইমার অবশ্য বরাবরই কোনোরকম দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেছেন।
বার্সেলোনা জানিয়েছিল, ২০১৩ সালে তারা ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোস থেকে নেইমারকে কিনতে পাঁচ কোটি ৭০ লাখ ইউরো দিয়েছিল। তার মধ্যে চার কোটি ইউরো পেয়েছিল খেলোয়াড়টির পিতা-মাতা আর সান্তোস পায় এক কোটি ৭০ লাখ ইউরো।
কিন্তু তদন্তকারীরা জানায়, নেইমারের মোট ট্রান্সফার ফি ছিল আট কোটি ৩০ লাখ ইউরোর কাছাকাছি, বার্সেলোনা চুক্তির কিছু অংশ লুকিয়েছিল। এ ব্যাপারে বার্সা অবশ্য শুরু থেকে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছে। নেইমার চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় খরচের বিস্তারিত না জানানোর কারণ হিসেবে চুক্তির ‘গোপনীয়তার’ শর্তের কথাও জানায় ক্লাবটির কর্তৃপক্ষ।
ব্রাজিলের তৃতীয়-পক্ষের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ডিআইএস-এর অভিযোগ, তারাও নেইমারের বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে। কারণ চুক্তি অনুযায়ী সান্তোসের ভাগের এক কোটি ৭০ লাখ ইউরোর ৬৮ লাখ ইউরো তারা পেয়েছে। কিন্তু মূল ট্রান্সফার ফি প্রকাশ হলে তারা আরও বেশি পেত।
নেইমার ও কাতালান ক্লাবটির বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার আরেকটি মামলা চালাচ্ছে স্পেনের আয়কর বিভাগ।
গত ফেব্রুয়ারিতে নেইমার ও তার পিতা-মাতার সঙ্গে বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি সান্দ্রো রোসেল এবং বর্তমান সভাপতি জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউ এ বিষয়ে নিজেদের বিবৃতি দেয়।
এ প্রসঙ্গে গত ফেব্রুয়ারিতে ও গ্লোবো টিভিকে নেইমার বলেছিলেন, “আমরা এটা লুকিয়েছি বা ওটা লুকিয়েছি- এরকম আজে বাজে কিছু বলার আগে- তাদের উচিত এটা প্রমাণ করা।”