Sylhet Today 24 PRINT

আমূলে পাল্টে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসন

স্পোর্টস ডেস্ক |  ১৯ জুলাই, ২০১৬

ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ক্রিকেট প্রশাসনে প্রবেশাধিকার হারাতে যাচ্ছেন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন ও শারদ পাওয়ারদের মতো জাঁদরেল ক্রিকেট সংগঠকেরা। প্রধান বিচারপতি এস কে ঠাকুর ও বিচারপতি ইব্রাহিম কলিফউল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চ ক্রিকেট-দুর্নীতি বন্ধে গঠিত লোধা কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের যে রায় দিয়েছেন, তাতে ক্রিকেট প্রশাসন থেকে সত্তরোর্ধ্ব ব্যক্তিদের সরে যেতে হবে। সরে যেতে হবে সরকারি দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ও আমলাদেরও।

বয়স ইতিমধ্যেই ৭০ হয়ে যাওয়াতে তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের শ্রীনিবাসন, মুম্বাইয়ের পাওয়ার ও সৌরাষ্ট্রের নিরঞ্জন শাহকে সরে যেতে হবে। এই তিনজনই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রভাবশালী তিন সদস্য। বয়সের ব্যাপারটি নিয়ে বিসিসিআইয়ের আপত্তি থাকলেও সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের রায়ের পর এটি এখন একরকম আইনেই পরিণত। ফলে শ্রীনি-পাওয়ারদের আর অন্তত বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ও লাভবান এই ক্রিকেট বোর্ডের মসনদে সরাসরি বসার সুযোগ নেই।

সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ লোধা কমিশনের সুপারিশ আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। বোর্ডের এই পরিবর্তনের সময়টা তত্ত্বাবধান করবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি লোধা ও কমিশনে তাঁর অন্য সহযোগীরা। তাঁরা দেখবেন, কোন কোন ক্ষেত্রে সুপারিশ বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে বিসিসিআই।

সোমবারের এই রায়ের পর মন্ত্রী ও সরকারি আমলাদের ক্রিকেট প্রশাসক হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটিও নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। এই রায়ে বোর্ড সভাপতির কার্যকালের মেয়াদও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কোনো বোর্ড সভাপতিই তিন বছরের বেশি এই পদ ধরে রাখতে পারবেন না।

সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশ বাস্তবায়িত হলে বিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি অনুরাগ ঠাকুরকে তাঁর পদ ছেড়ে দিতে হবে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়ার পরে তিনি ক্রিকেটের অন্য কোনো পদে নিজেকে জড়াতে পারবেন না পরের তিন বছর। এ ছাড়া একই সঙ্গে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা আর বিসিসিআইয়ের পদ নিয়েও কড়াকড়ি করা হয়েছে এই রায়ে। বলা হয়েছে, কোনো সংগঠক নয় বছরের বেশি সময় ক্রিকেটের প্রশাসনে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পারবেন না। তাঁকে চলে যেতে হবে অবসরে।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসন পাল্টে যাচ্ছে আমূলেই। এর প্রভাব পড়তে পারে সৌরভ গাঙ্গুলীর ওপরেও। একই সঙ্গে রাজ্য ক্রিকেট ও কেন্দ্রীয় বোর্ডে কাজ করতে পারবেন না কেউ। এর যেকোনো একটি ছেড়ে দিতে হবে। বর্তমানে বিসিসিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারক সৌরভ পশ্চিমবঙ্গ ক্রিকেট সংস্থারও (সিএবি) প্রধান।
সূত্র: এনডিটিভি অনলাইন, আনন্দবাজার পত্রিকা।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.