Sylhet Today 24 PRINT

পারবে কি ব্রাজিল জার্মানির বিপক্ষে প্রতিশোধ নিতে

নিউজ ডেস্ক |  ১৯ আগস্ট, ২০১৬

বিশ্বকাপ ফুটবল আর অলিম্পিক ফুটবল- এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও রিও অলিম্পিকে পুরুষদের ফুটবল ফাইনালের আবহটা কিন্তু ভিন্ন, কারণ এবার সে ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল ও জার্মানি। দল দুটিকে বিশ্বফুটবলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভাবা হয় না ঠিক, কিন্তু ২০১৪ বিশ্বকাপের পর থেকে উত্তাপের রসদ যোগাচ্ছে ঢের; কারণ সেবার জার্মানির কাছে ব্রাজিল হেরেছিল ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে।

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ড্র করে তাদেরকে অলিম্পিক থেকে বিদায় করে দেওয়া হন্ডুরাসের বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিল ৬-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয়ের পর ব্রাজিল সমর্থকেরা আশায় বুক বেধেছে জার্মানির বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে বিশ্বকাপের হারের প্রতিশোধ নিতে। দলের পক্ষে সরাসরি কেউ প্রতিশোধ শব্দটি উচ্চারণ না করলেও ব্রাজিলের ফুল-ব্যাক দগলাস সান্তোসের আভাস দিলেন তেমনই এক।

ব্রাজিলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ম্যাচটিকে অবশ্য প্রতিশোধের উপলক্ষ হিসেবে দেখতে নারাজ। তবে সান্তোস মনে করেন, এই ম্যাচে মারকানা স্টেডিয়ামের আবহটা একটু অন্যরকমই থাকবে।

“আমি এটাকে প্রতিশোধ হিসেবে দেখি না, আমার কাছে এটা একটা সুযোগ। সমর্থকরা যে কঠিন হারের কথা বলে, সেটা উল্টে দেওয়ার একটা সুযোগ হবে এটা। ঈশ্বর চাইলে, আমরা এই স্কোর লাইনটা উল্টে দিতে পারি।”

দুই দলেরর কেউই এখনও অলিম্পিক সোনা জেতেনি। ১৯৭৬ সালে কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানি অলিম্পিক ফুটবলের সোনা জিতেছিল বটে, তবে সেটা এই জার্মানির ক্ষেত্রে অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক।

আগামী শনিবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত আড়াইটায় জার্মানির বিপক্ষে সোনার লড়াইয়ে নামবে নেইমাররা।

অলিম্পিক ফুটবলে মূলত কোনো দেশের অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলে। তবে কোচ চাইলে তিন জন বেশি বয়সী খেলোয়াড় দলে নিতে পারেন। অলিম্পিক ফুটবলে সোনার পদকের অভাব মেটাতে মরিয়া ব্রাজিল বেশি বয়সীর কোটায় দেশের সেরা খেলোয়াড় নেইমারকে দলে রাখে।

ফাইনালের দুই দল মিলিয়ে একমাত্র বার্সেলোনার তারকা ফরোয়ার্ড নেইমারের আছে ২০১৪ বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা। তবে চোটের কারণে তিনি জার্মানির বিপক্ষে সেমি-ফাইনালের সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি।

আক্রমণভাগে নেইমারের সঙ্গে আছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লেখানো তরুণ তারকা গাব্রিয়েল জেসুস আর ‘গাবিগোল’ নামে পরিচিত সান্তোসের গাব্রিয়েল বারবোসা। আর রক্ষণে আছে পিএসজির ডিফেন্ডার মারকুইনিয়োসের মতো নাম।

অন্যদিকে জার্মানির অলিম্পিক দলে নেই দেশের সেরা ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কোনো খেলোয়াড়। শীর্ষ চারের মধ্যে থেকে গত মৌসুমে লিগ শেষ করা অন্য তিন দলের কেবল ৪ জন খেলোয়াড় আছে।

জার্মানির বেশি বয়সী তিনজন খেলোয়াড় মিলে জার্মানির হয়ে ২৬টি ম্যাচ খেলেন। আর ব্রাজিলের বেশি বয়সী তিনজন মিলে খেলেছেন ৮১টি ম্যাচ। অভিজ্ঞতার দিক থেকে এগিয়ে থাকার সঙ্গে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধাও আছে ব্রাজিলের।

হন্ডুরাসের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ব্রাজিল দলকে উৎসাহ জুগিয়েছে ৫২ হাজার সমর্থক। ম্যাচটি শেষে গাব্রিয়েল জেসুস বলেন, “সমর্থকরা আমাদের সাহায্য করে। এটা একটা পার্থক্য গড়ে দেয়। আমি নিশ্চিত, তারা শনিবার আমাদের আরও বেশি সাহায্য করবে।”

পারবে কি ব্রাজিল বিশ্বকাপের লজ্জাজনক হারের প্রতিশোধ নিতে?

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.