ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২০ অক্টোবর, ২০১৬
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় সেশনে জো রুট ও বেন স্টোকসের উইকেট হারিয়ে আরও ১১০ রান যোগ করেছে ইংল্যান্ড। মইন আলি ও জনি বেয়ারস্টোর দৃঢ়তায় চা-বিরতি পর্যন্ত ইংল্যান্ডের স্কোর ১৭৩ রান ৫ উইকেটে।
শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ইংল্যান্ড প্রতিরোধ গড়ে মঈন আলির ব্যাটে। ১২৭ বলে অর্ধশতক করেন তিন বার রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের রিভিউ নেওয়ার সুযোগ শেষ হয়ে যায় ৪৯তম ওভারে। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মঈন আলির এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না নিলে রিভিউ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ হন মুশফিকুর রহিম। ৮০ ওভার পর্যন্ত আর কোনো রিভিউয়ের সুযোগ নেই স্বাগতিকদের।
৪১তম ওভারে সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ফিরে যান বেন স্টোকস। একটু ঝুলিয়ে দেওয়া বল সামলাতে সামনে এগিয়ে খেলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। কিন্তু বল তার ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে স্টাম্পে আঘাত হানে। দলকে চাপে ফেলে ১০৬ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেন স্টোকস।
দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই বিপজ্জনক জো রুটকে বিদায় করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৯ বলে ৫ চারে ৪০ রান করা রুটের ব্যাট ছুঁয়ে আসা ক্যাচটি ছিল উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের। অধিনায়ক পারেননি, বল তার হাঁটুতে লেগে খানিকটা উঠে যায়। স্লিপে থাকা সাব্বির ঝাঁপিয়ে তা তালুবন্দি করেন। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে রুট ফেরার পর ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৮৩ রানে ৪ উইকেট।
এর আগে সাকিব আল হাসানের দুই ওভারের মধ্যে তিন বার রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান মঈন আলি। লাঞ্চের আগে প্যাডে লাগার আগে বল হালকাভাবে ব্যাট ছুঁয়ে যাওয়ায় বেঁচে যান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে সাকিবের পরের ওভারে তিন বলের মধ্যে দুইবার আম্পায়ার আউট দেন মঈনকে। দ্রুত রিভিউ নেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। প্রথমবার বেঁচে যান বল লেগ স্টাম্প মিস করায়। পরেরবার ইমপ্যাক্ট অফ স্টাম্পের বাইরে হওয়ায়।
জো রুট ও মইন আলির ব্যাটে শুরুর বিপর্যয়টা কাটিয়ে উঠে ইংল্যান্ড। লাঞ্চের সময় পর্যন্ত স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৮১ রান।