গত ১৩ ডিসেম্বর রুবেলের
বিরুদ্ধে মামলার পরদিন পুলিশের ব্যবস্থাপনায় হ্যাপীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয় ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
মামলায় অবশ্য হ্যাপী
জোর খাটানোর অভিযোগ করেননি। তিনি দাবি করেছেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে
দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন রুবেল।
১৪ ডিসেম্বর পরীক্ষার
পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ হ্যাপীর প্রতিবেদন ডাকযোগে পুলিশকে পাঠায়। ২৩
ডিসেম্বর পাঠানো ওই প্রতিবেদন একদিন বাদে বুধবার পায় মিরপুর থানা পুলিশ।
মিরপুর থানার উপপরিদর্শক
নুরুল আফসার বলেন, “প্রতিবেদনটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নুজহাত আন্দালিব স্বাক্ষরিত। সেখানে লেখা আছে, ‘ভিকটিম
হ্যাস নো ফাউন্ড রিসেন্টলি ফোর্সফুলি সেক্স্যুয়াল ইন্টারকোর্স’।”
অর্থাৎ সম্প্রতি হ্যাপীকে
জোর করে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হয়েছে, এমন আলামত চিকিৎসকরা পাননি।
২১ বছর বয়সী হ্যাপীর
দাবি, ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রায় এক বছর আগে তার সঙ্গে পরিচয় হয়
রুবেলের। বিয়ের কথা বলে নয় মাস ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখছিলেন রুবেল।
এই অভিনেত্রীর অভিযোগ, রুবেল অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার পর তাকে
এড়িয়ে চলায় তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী হ্যাপী
‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’ চলচ্চিত্রে প্রধান অভিনেত্রীর ভূমিকায় ছিলেন। তার অভিনীত আরও
কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায়।
এদিকে নারী নির্যাতন আইনে হ্যাপীর করা মামলার দুই দিন পরই হাই কোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন
নেন জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল।
হ্যাপীর অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলে আসছেন, এই তরুণী তাকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করছে।