Sylhet Today 24 PRINT

মাশরাফির কুমিল্লাকে হারালো তামিমের চিটাগং

ক্রীড়া প্রতিবেদক |  ০৮ নভেম্বর, ২০১৬

বিপিএলের প্রথম ম্যাচে মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে ২৯ রানে হারালো তামিমের চিটাগং ভাইকিংস।

১৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩২ রানে শেষ হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের পথচলা। মোহাম্মদ নবী ৪ ওভারে ২৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছেন চিটাগং ভাইকিংসের জয়ের নায়ক।

টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ ডোয়াইন স্মিথ কেন বল হাতে বিপজ্জনক তার অনুপম প্রদর্শনী ছিল ৪ ওভারের স্পেলটিতে। অফ স্টাম্পের বাইরে, লেগ স্টাম্পের ওপরে বল পিচ করে  ও বলের গতিতে পরিবর্তন এনে তিনি সেট হতে দেননি কুমিল্লার ওপেনার ইমরুল কায়েস ও লিটন কুমার দাশকে। ইমরুল কায়েস স্মিথের বলে ৬ রানে কট বিহাইন্ড হন।

মাঠে নেমে রানের গতিটা বাড়াবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন মারলন স্যামুয়েলস। ১৮ বলে ১ টি ছক্কা ও দুটি চারে  ২৩ রান করে ভালই এগিয়ে চলছিলেন, বাঁধ সাধলেনে আব্দুর রাজ্জাক, তার একটি লেগ স্টাম্পে পড়া বল মিডউইকেটের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে তাসকিনের হাতে ধরা পড়েন ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটসম্যান।

এরপর বিদায় নেন লিটন কুমার দাশ। নবীর বল ব্যাকফুটে কাট করতে গিয়ে তিনি এনামুল হক বিজয়ের গ্ল্যাভসে দ্বিতীয় ক্যাচ জমা দেন। ‘আনলাকি’ ১৩ ছিল তার সংগ্রহ।

কুমিল্লার যখন প্রয়োজন একটি মারমুখী ইনিংস, তখন কেউই সেই চাহিদাটা পূর্ণ করতে পারেননি। আফগানিস্তানের আসহার জাইদির ওপর ছিল সেই দায়িত্ব, স্বদেশী নবীকে ক্রস ব্যাটে খেলে তিনি দেখেন ভেঙে গেছে  উইকেট। ৮ বলে ২ রান করতে পেরেছিলেন আফগান হার্ডহিটার এই ব্যাটসম্যান।

ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মাশরাফিও। ইংলিশ বোলার টাইমাল মিলসের বলে ১ রানে বোল্ড হন  তিনি। ক্রিজে যেন থাকতেই চাননি কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা, তাসকিনকে প্রথম বলেই ৪ মেরে পরের বলে বিদায় নেন পাকিস্তানি ইমাদ ওয়াসিম।

শেষ ৫ ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ৬৪ রান। প্রথমবার বিপিএল খেলা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ধরে রেখেছিলেন এক প্রান্ত, কিন্তু অন্য প্রান্তে পাননি তার কোনও সঙ্গী। ৪৪ বলে ৬টি চারে ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

এর আগে তামিমের ফিফটিতে ৩ উইকেটে ১৬১ রান তুলেছে চিটাগং ভাইকিংস। ব্যাটে বল কিছুটা ধীরে আসছিলো। তাই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের সামনে তাই ১৬২ রানের লক্ষ্যটা সহজ ছিল না।

রান আউট হওয়ার আগে তামিম ইকবাল অবশ্য পেয়ে গেছেন এবারের বিপিএলে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। ৫৪ করেন তিনি। বেশ কদিন ধরেই তামিম মানে যে ধারাবাহিকতার প্রতিমূর্তি। দুর্দান্ত ফর্মটা বিপিএলেও টেনে আনলেন এই ওপেনার।

তামিমের পর এনামুলও ফিরেছেন রান আউটে (১৮ বলে ২২)। সে সময় বেশ চাপে পড়ে যায় চিটাগং। পরে শোয়েব মালিক (২৮ বলে ৪২) ও জহুরুল ইসলামের (২১ বলে ২৯) ​অবিচ্ছিন্ন ৬০ রানের জুটি ভালো সংগ্রহ এনে দেয়। তবে মূল ভূমিকা তাতে তামিমেরই।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.