Sylhet Today 24 PRINT

এক বোলার কম নিয়ে খেলার মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ২৯ এপ্রিল, ২০১৫

উইকেট পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ, বুধবার এমন দৃশ্য ছিল বিরল

টানা ৩  ওয়ানডে ও একমাত্র টি-টুয়েন্টি ম্যাচের জয়ের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টেও জেতার প্রত্যাশা করে বসে আছে টাইগার সমর্থকদের। কিন্তু বাংলাদেশ দল কি সত্যি জয়ের চিন্তা নিয়ে মাঠে নেমেছে নাকি 'ড্র এর জয় খেলি, সুযোগ পেলে জিতব'-  এমন মানসিকতা কাজ করেছে দল নির্বাচনে? না হলে টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে যেখানে নেয়া লাগে ২০ উইকেট সেখানে কিনা বাংলাদেশ একাদশে নিয়মিত বোলার আছেন ৪ জন! এরমধ্যে সাকিব তো অলরাউন্ডার কাজেই একাদশে নির্ভেজাল বোলার আছে কেবল ৩ জন। টুকটাক বোলিং করতে পারা শুভাগত আর রিয়াদকে দিয়ে বাকি এক বোলারের অভাব পূরণের পরিকল্পনা তো টেস্ট ম্যাচের সাথে একদমই মাননসই নয়। ৮ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে শুভাগত খেলছেন এই জায়গায় জুবায়ের লিখনকে নিলে দলের বোলিং শক্তি অনেক বাড়ত বলেই মনে করেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।

জুবায়ের না থাকার আফসোস আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে পাকিস্তানি লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহের পারফরম্যন্স। দারুণ বোলিং করে ইয়াসির গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের ৩ উইকেট তোলে নিয়েছেন। একই কাজ বাংলাদেশের হয়ে করতে পারতেন জুবায়ের। কোচের গুড বুকে থাকা এই স্পিনারকে কেন জানি নির্বাচকরা খুব আমলে নিতে চান না। যদিও জুবায়েরকে তো নির্বাচকরা বলতে পারেন ওকে তো আমরা স্কোয়াডে রেখেছেই, একাদশে রাখার দায়িত্ব তো টিম ম্যানেজম্যান্টের।

প্রশ্ন আছে প্রথম দিনের শ্লথ গতির ব্যাটিং নিয়েও। আধুনিক ক্রিকেটে সেকেলে ব্যাটিং এর প্রদর্শনী ছিল প্রথম ইনিংসে। প্রথম দিনে ৯০ ওভার ব্যাট করে ফ্লাট উইকেট বাংলাদেশ তুলেছিল  ২৩৬ রান, রান রেট কখনই ৩ এর ঘরে পৌঁছে নি।  টেস্ট ক্রিকেটে এখন জয় পেতে হলে টিকে থাকার সাথে রানের চাকাও সচল রাখা লাগে সেই জায়গায় দুই ওপেনার প্রথম ২০ ওভারে তোলেছিলেন কিনা মাত্র ৩৬ রান! উইকেট কি আসলেই এত দুর্বোধ্য ছিল নাকি ড্র করার টার্গেট নিয়ে খেলছে মুশফিকের দল এমন প্রশ্ন উঠা অযৌক্তিক বলা যাচ্ছেনা। প্রথম দিনের শ্লথ ব্যাটিং পোষাতে দ্বিতীয় দিনে একটু মেরে খেলতে গিয়ে টপাটোপ উইকেট খুইয়ে ৩৩২ রানেই গুটিয়ে যেতে হল, স্বাভাবিক ক্রিকেট খেললে এই স্কোর আরও অনেক বড় হত বলেই ধারনা সমর্থকদেরও।


দ্বিতীয় দিনের শেষ দুই সেশনে ব্যাট করার সুযোগ পাওয়া পাকিস্তানকে বিপাকে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশের বোলিং। ৪ নিয়মিত বোলারের সাথে ৪ ওকেশনাল বোলার ব্যবহার করেও ৫৮ ওভারে পাকিস্তানের উইকেট ফেলা গেছে মাত্র ১টি। হাফিজের সেঞ্চুরি আর আজহারের হাফ সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানিদের রান দাঁড়িয়েছে ১ উইকেটে ২২৭।

বড় কোন ভুল না করলে এই পিচ থেকে বিশাল একটি সংগ্রহ দাঁড় করানোর কথা ভাবতেই পারে তাঁরা। সেক্ষেত্রে এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক ফল তো বটেই ম্যাচ বাঁচানোই কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে মুশফিকের জন্য।  

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.