সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক | ০৫ মে, ২০১৫
কৌশল ঠিক করতে ব্যস্ত কোচ ও অধিনায়ক
খুলনায় ইতিহাসের স্মরণীয়তম প্রতিরোধ গড়ে তামিম-ইমরুলের মাধ্যমে যে আত্মবিশ্বাস এসেছে বাংলাদেশ দলে সেই আত্মবিশ্বাসকে পূঁজি করেই টেস্টেও পাক বধের ছক কষছেন কোচ ও অধিনায়ক।
এই পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে আট টেস্ট খেলে একটি ড্র করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজের শেষ টেস্টের আগে ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে দুর্বীনিত সাহসী উচ্চারণই বেরিয়ে এসেছে মুশফিকের কন্ঠ থেকে। জিততে পারলে মুলতান হারের আক্ষেপও ঘুচবে।
তবে সিরিজের শেষ টেস্ট জিততে হলে বেশ কিছু সমীকরণ মেলাতে হবে তামিম, মুশফিক সাকিবদের। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানের ২০ উইকেট নেয়া। সে চিন্তা থেকেই একাদশে কাল একজন বাড়তি বোলার দেখার সম্ভবনাই বেশি।
মিরপুর টেস্টে জয় পেতে হলে জ্বলে উঠতে হবে সাকিব আল হাসানকেও। এই মাঠেই সাকিব ২০১১ সালে মিসবাহদের বিপক্ষে করেছিলেন সেঞ্চুরি এবং পাঁচ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে মিরপুরেই সাকিব করেছেন ৯৫৬ রান। এই মাঠে ১২ টেস্ট খেলে ১ টি সেঞ্চুরি এবং ছয় হাফ সেঞ্চুরি করেছেন এই অলরাউন্ডার। বল হাতে এই ভেন্যুতে পাঁচ উইকেটের বেশি শিকার করেছেন পাঁচবার। তাই তামিমকে থামানোর সাথে সাথে সাকিবকে কিভাবে সামাল দেবে পাকিস্তান তার পরিকল্পনাও করতে হবে মিসবাহকে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্টে আলোচনা চলছে তিন পেসার খেলানো হবে নাকি একজন বাড়তি স্পিনারকে খেলানো হবে। যদি একজন বাড়তি স্পিনার খেলানো হয় তবে দলে ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনের। সেক্ষেত্রে মোহাম্মদ শহীদকে জায়গা ছেড়ে দিতে হতে পারে। তবে উইকেটে কিছুটা ঘাস থাকায় এই সিরিজে সম্ভবত লিখনের খেলা হবে না। তিন পেসার খেললে শহীদের সাথে খেলবেন শাহাদাত রাজিব ও আবুল হাসান।
মুশফিক যদি কিপিং না করেন তাহলে সৌম্যের বদলে খেলবেন লিটন দাস।