Sylhet Today 24 PRINT

আমার বিদায়ে মানুষের মন খারাপ হোক: বুফন

স্পোর্টস ডেস্ক |  ০৪ মে, ২০১৭

গঞ্জালো হিগুয়েইন সব শিরোনাম কেড়ে নিয়েছেন। তবু অন্য একজনের নাম আলাদাভাবে বলতেই হচ্ছে, জিয়ানলুইজি বুফন। এই গোলরক্ষক বাধা হয়ে না দাঁড়ালে মোনাকো-জুভেন্টাস সেমিফাইনালের চিত্রনাট্য অন্য রূপ নিতেও পারত।

সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখা দলটার নামও জুভেন্টাস না হয়ে মোনাকো হতে পারত। এমন পারফরম্যান্সের পর তাঁর চাওয়াটাও খুব ছোট, সবার স্মৃতিতে বুফন নামটা রেখে যেতে চান।

ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতে এবার সবচেয়ে বেশি গোল দিয়েছে মোনাকো। সব প্রতিযোগিতা মিলে ১৪৬ বার গোলের উদযাপনে মেতেছেন মোনাকো খেলোয়াড়েরা। ম্যানচেস্টার সিটি ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মতো দলকে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে ১২ গোল দেওয়ার মতো কীর্তি করেই সেমিফাইনালে এসেছেন তাঁরা।

সেই মোনাকোই নিজেদের মাঠে জুভেন্টাসের সঙ্গে কোনো গোল করতে পারেনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এ নিয়ে টানা ছয় ম্যাচ কোনো গোল খায়নি জুভেন্টাস। হিগুয়েইনের জোড়া গোলে উল্টো ম্যাচ ২-০ ব্যবধানে জয়ী জুভেন্টাস।

তবে ম্যাচের এ স্কোরলাইন ১৭ মিনিটেই মোনাকোর হয়ে যেত পারত। কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং রাদামেল ফ্যালকাওকে দুটি গোল থেকে বঞ্চিত করেছেন বুফন। পুরো ম্যাচেই পাঁচটি দারুণ সেভ। অবশ্য ৩৯ বছর বয়সী বুফনের কাছে এটাই স্বাভাবিক, ‘প্রতি ম্যাচেই আমি বোঝাতে চাই, এ বয়সেও উচ্চপর্যায়ে খেলার অধিকার আছে আমার। সে লক্ষ্যেই প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করি। আমি চাই, আমার বিদায়ে মানুষের মন খারাপ হোক। আমি জানি না সেটা অর্জন করতে পারছি কি না। তবে এমন একটা দলে খেলা অবশ্যই সাহায্য করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যখন দলের দরকার, তখন তৈরি থাকা।’

এভাবে তৈরি থেকেই নিজের একটা লক্ষ্য অর্জনে করার স্বপ্ন দেখছেন। জুভেন্টাস ও ইতালির পক্ষে প্রায় সম্ভাব্য সবকিছু জিতেছেন। শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটাই ছোঁয়া হয়নি ক্লাব পর্যায়ে। জুভেন্টাস যেভাবে খেলছে, তাতে এবার সেটাও হয়তো হাতে ধরা দেবে। বুফন অন্তত সে আশাই করছেন, ‘বার্সেলোনা ম্যাচের পরই বলেছি, দিন দিন আরও উন্নতি করতে চাই। আমরা আমাদের লক্ষ্যের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। এখন যতটুকু সম্ভব পরিশ্রম না করাটা বোকামি হবে।’
সূত্র: গোলডটকম

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.