Sylhet Today 24 PRINT

২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনে লড়বে কাতার

স্পোর্টস ডেস্ক |  ০৪ জুন, ২০১৫

ফিফা সভাপতির পদ থেকে জেপ ব্লাটারের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর থেকে ২০২২ বিশ্বকাপ কাতারে হওয়া নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা জেগেছে। তবে ব্লাটারের পদত্যাগের ঘোষণায় পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজকরা জানিয়েছে, টুর্নামেন্টটি আয়োজনের স্বত্ব সহজে ছাড়বে না তারা।

মঙ্গলবার রাতে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ব্লাটার। এর কয়েক ঘণ্টা পরই যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে খবর বের হয়, ফিফার দুর্নীতি নিয়ে দেশটির চালানো তদন্তের আওতায় আছেন সম্প্রতি পঞ্চম মেয়াদে ফিফা সভাপতি নির্বাচিত হওয়া ব্লাটার।

ব্লাটার পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া মাত্রই ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন চেয়ারম্যান গ্রেগ ডাইক কাতারকে বিশ্বকাপের আয়োজক করার ভোট প্রক্রিয়া 'বিতর্কিত' হয়েছিল দাবি করে সেটা নতুন করে আয়োজনের সম্ভাবনার কথা বলেন।    

ডাইক এই মন্তব্য করার পরপরই মুখ খোলেন কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ হামাদ বিন খালিফি বিন আহমেদ আল-থানি। ডাইকের তীব্র সমালোচনা করে কাতারের ফুটবল প্রধান জানান, প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ এখান থেকে সরিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যেই এই ইংলিশ কর্মকর্তা এমন মন্তব্য করেছেন।   

"আইনি প্রক্রিয়াকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়ার জন্যে মিস্টার ডাইকের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি। আর কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপ শিরোপা জিততে পারে এমন একটি ইংল্যান্ড দল গঠনের যে ওয়াদা তিনি করেছিলেন, তার উপরই তিনি যেন মনোযোগ দেন।"

২০১০ সালে ফিফার নির্বাহী কমিটির ভোটে রাশিয়া ২০১৮ বিশ্বকাপের এবং কাতার ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচিত হয়।

অস্ট্রেলিয়া, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার স্বত্ব পায় কাতার। কিন্তু তারপর থেকেই ওই ভোট প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয়েছিল বলে ফুটবল বিশ্বে জোর দাবি ওঠে।

পরে ওই দুই বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় কোনোরকম দুর্নীতি হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখেন ফিফা এথিকস কমিটির তদন্তকারী মাইকেল গার্সিয়া। তার তদন্তের ভিত্তিতে গত নভেম্বরে ফিফা জানায়, রাশিয়া ও কাতারকে আয়োজক দেশ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনো দুর্নীতি হয়নি।

তবে ফিফার ওই বিবৃতির পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক আইনজীবি গার্সিয়া দাবি করেন, তদন্তে তার উদঘাটন করা তথ্যগুলো ফিফার প্রতিবেদনে যথার্থভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। তার এ কথায় রাশিয়া ও কাতারকে বিশ্বকাপের স্বাগতিক করার ফিফার সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

সবশেষ গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ফিফার দুর্নীতি নিয়ে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করে। ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনার পর সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ৭ শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার পর ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্ধারণ প্রক্রিয়া নিয়ে সুইস কর্তৃপক্ষ ফৌজদারি তদন্ত করার ঘোষণা দেয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.