Sylhet Today 24 PRINT

দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রায়না-জাদেজার পাশে বিসিসিআই

সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক |  ২৯ জুন, ২০১৫

আইপিএলের অপসারিত কমিশনার ললিত মোদির অভিযোগকে পাত্তাই দিলো না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, উলটো তারা বলছে 'যেহেতু অভিযোগের দুই বছরেও আইসিসি কোন ব্যবস্থা নেয়নি সেহেতু ধরে নেওয়া যেতেই পারে তারা নির্দোষ'! বিসিসিআই-এর পক্ষে এভাবেই সাফাই গাইলেন সচিব অনুরাগ ঠাকুর।

জানা যায়, ভারতের দুই ক্রিকেটার সুরেশ রায়না ও রবীন্দ্র জাদেজা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়েইন ব্রাভোর বিরুদ্ধে সাবেক আইপিএল কমিশনার ললিত মোদি দুই বছর আগে আইসিসিতে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন।

আইসিসির সিইও ডেভ রিচার্ডসনকে লেখা সেই চিঠিতে তিনি বলেন, সুরেশ রায়না, রবীন্দ্র জাদেজা ও ডোয়েইন ব্রাভো দিল্লির এক ধনকুবের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ অর্থে বা অন্যভাবে বিপুল পরিমাণ ঘুষ নিয়েছেন। দিল্লির অভিজাত এলাকায় রায়না ও জাদেজা ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কুড়ি কোটি রুপি মূল্যের ফ্ল্যাট ও ব্রাভো সমপরিমাণ অর্থ নগদে নিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।

গত শুক্রবার টুইটারে এই চিঠিটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর আইসিসিও বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করে নেয় তাদের কাছে এমন অভিযোগ জমা পড়েছিল। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিসিআই মঙ্গলবার দাবি করেছে, এরপর দুই বছরের মধ্যে আইসিসি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মানে সেই অভিযোগটা ছিল ভিত্তিহীন।

বিসিসিআইয়ের সচিব অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “যে তিনজন ক্রিকেটারের নাম এসেছে তারা প্রত্যেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তদন্তে কিছু পাওয়া গেলে নিশ্চয় তারা আমাদের জানাত।”

উইজডেন ইন্ডিয়ার সিনিয়র এডিটর সাম্য দাশগুপ্তর কথায়, “ললিত মোদি তিনজন চেন্নাই সুপার কিংস ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, যাদের বস এন শ্রীনিবাসনের সঙ্গে তার অনেক দিনের ঝগড়া – এটুকুই আমরা জানি। এর বাইরে সবটাই কিন্তু জল্পনা!’

সাম্য দাশগুপ্ত বলেন, এটা পুরোটাই আইসিসির এখতিয়ারে। আইসিসি বা ভারতীয় বোর্ডের এখানে ক্লিনচিট দেয়ার কোনো অধিকার নেই।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.