Sylhet Today 24 PRINT

যেনো চেনা রূপে ফিরলো বাংলাদেশ!

স্পোর্টস রিপোর্ট |  ১২ জুলাই, ২০১৫

প্রথম ওয়ানডেটাকে এবার দুঃস্বপ্ন ভাবতেই পারেন। অন্তত ২য় ওয়ানডের প্রথম ইনিংস শেষে। কিংবা এও ভাবেত পারেন, এরকম একটা দু'টা ম্যাচ তো সব দলই হারে। সবজেয়ে অজেয় দলটিও অচেনা হয়ে উঠে।

২য় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের বোলিং আপনাকে এই ভাবনার খোরাক জোগাতে পারে। গত মাস ছয়েক ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যে জয়যাত্রা চলছে সেই চেনারুপেই যেনো আজ ফিরে এলো টাইগাররা। মাশরাফিবাহিনীর বোলিংয়ের সামনে তো একেবারেই নাকানি চুবানি খেয়েছে আগের ম্যাচেই ৮ উইকেটে বিজয়ীরা।

বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৬২ তেই গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে ১৬৩ রানের লক্ষ্য পেয়েছে স্বাগতিকরা।

রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ ওভার বাকি থাকতে ১৬২ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করে এই প্রথম বাংলাদেশের বিপক্ষে অলআউট হল তারা।

স্বাগতিক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই রানের জন্য লড়াই করতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে সব সময়ই চাপে রাখেন মুস্তাফিজুর রহমান-নাসির হোসেন-রুবেল হোসেনরা।

শুরু থেকেই ভালো বোলিংয়ের পুরস্কারটা পঞ্চম ওভারেই পেয়ে যায় বাংলাদেশ। মুস্তাফিজের দারুণ এক বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাব্বির রহমানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান কুইন্টন ডি কক।

অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাশিম আমলাকে ফেরান জুবায়ের হোসেনের বদলে দলে ফেরা রুবেল। তার চমৎকার এক বলে বোল্ড হয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক।

বোলিংয়ে এসেই আঘাত হানেন নাসির। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই রাইলি রুশোকে বোল্ড করে অতিথিদের চাপে ফেলেন এই অফ স্পিনার।

আক্রমণে এসে সাফল্য পান অন্য অফ স্পিনার মাহমুদুল্লাহও। ডেভিড ‘কিলার’ মিলারকে মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।

রানের গতি বাড়ানোর সংগ্রামের সঙ্গে উইকেটও ধরে রাখতে ঘাম ঝরাতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের। স্বাগিতক বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৭তম ওভার থেকে ৩২তম ওভারে দুটির বেশি চার হাঁকাতে পারেনি তারা।

রানের গতি বাড়াতে নাসিরকে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে বিদায় নেন বিপজ্জনক ফাফ দু প্লেসি। লং অনে কিছুটা দৌড়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করা এই ব্যাটসম্যানের ক্যাচ তালুবন্দি করেন সৌম্য সরকার।

দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান জেপি দুমিনিকে বিদায় করেন মুস্তাফিজ। তার বলে আগেই শট খেলে শর্ট কাভারে সাব্বিরের তালুবন্দি হন দুমিনি।

দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে রুবেল ফেরান ক্রিস মরিসকে। সাকিব আল হাসানের দুই ওভারে একটি করে চার হাঁকানো এই অলরাউন্ডারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রুবেল।

নিজের ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম বারের মতো ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ মেলে কাগিসো রাবাদার। তৃতীয় স্পেলে ফিরে দারুণ এক অফ কাটারে এই তরুণকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার।

দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে নিজের তৃতীয় উইকেট নেন নাসির। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো তৃতীয় উইকেট নিতে কাইল অ্যাবটকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস দেড়শ’ পার হয় অলরাউন্ডার ফারহান বেহারদিনের দৃঢ়তায়। ৩৬ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে সীমানায় নাসিরের ক্যাচে পরিণত করে অতিথিদের সব মিলিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অলআউটে অবদান রাখেন মাশরাফিও।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.