Sylhet Today 24 PRINT

যে সৌম্য শান্ত নয়!

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ১৩ জুলাই, ২০১৫

সৌম্য সরকার কেনো প্রতি ম্যাচে এমন ইনিংস খেলতে পারেন না, সেটা একটা গবেষণার বিষয় হতে পারে। প্রতিম্যাচেই অসাধারণভাবে শুরু করেন। শুরুতেই চড়াও হন প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর। প্রতিপক্ষের যত বিধবংসী বোলিংই হোক না কেনো এক সময় যেনো খেই হারিয়ে ফেলেন সৌম্য!

৩০/৪০ কোটায় গিয়েই হয় নিজের ভুলে কিংবা দূর্ভাগ্যের শিকার হয়ে ফিরে যেতে হয় সৌম্যকে। যেনো ৪০ পেরোলেই চালশে।

তবে সৌম্যর সৌভাগ্য রোববার আর এমনটি হলো না। কেবল সৌম্যর সৌম্যর সৌভাগ্য বলি কেনো, এতো সকল ক্রিকেট দর্শকদের জন্যই সৌভাগ্যের। সৌম্যের ব্যাটিং দেখার চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে!

কী টেকনিক, কী নান্দনিকতা, কী বিধ্বংসীরূপ- সবকিছুর যেনো আদর্শ সমন্বয় ঘটেছে সৌম্যের ব্যাটিংয়ে। তাই সৌম্যের ব্যাট হাসা মানে তো কেবল বাংলাদেশের হেসে ওঠা নয়, এতো ক্রিকেট সৌন্দর্য্যেরই হেসে ওঠা।

এই মূহূর্তে খোঁজ নিয়ে দেখা যেতে পারে, ব্যাট হাতে এমন বিধ্বংসী যে ছেলে, যে ছেলে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে প্রতিপক্ষের বাঘা বাঘা বোলারদের ছাতু বানিয়ে দেয়, তার নাম সৌম্য কে রাখলো? সৌম্যের বাবা-মা কী জানতেন, শখ করে রাখা নামটা এমন ‌'ভুল' প্রমাণ করবে তাদের প্রিয় ছেলেটা!

তবে, বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী মাত্রই চাইবে, বারবার নিজের নামকরণের স্বার্থকতা ভুল প্রমাণ করুক সৌম্য। ব্যাট হাতে বাইশ গজে বিধ্বংসী রূপে আভির্ভূত হোক। যেমনটি হয়েছিলেন, রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২য় ওয়ানডেতে।

এমন চমৎকার ইনিংসের পরও হয়তো একটা আক্ষেপ থেকেই যাবে সৌম্যর। কেনো দক্ষিণ আফ্রিকা আরো কিছু রান করলো না! তাহলে তো ক্যারিয়ারের ২য় সেঞ্চুরিটা পেয়ে যেতে পারতেন সাতক্ষিরার এই সোনার ছেলে।

ম্যাচ শেষে সৌম্য'র কণ্ঠেও এই আক্ষেপ। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সৌম্য বলেন, 'আর ২০ টা রান থাকলে ভালোই হতো। সেঞ্চুরিটা পেয়ে যেতাম।'

রোববার ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল এবং লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর সদ্য ইনজুরি থেকে ফেরা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে সৌম্য সরকার করেন ১৩৫ রানের জুটি। মাহমুদুল্লাহ অর্ধশতক করে ফিরে গেলেও অপরাজিত ৮৮ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন সৌম্য। মাত্র ৭৯ বলের এই ইনিংসে ছিলো ১৩ টি চার এবং একটি ছক্কা।

শুরুতেই তামিম ও লিটনের উইকেট পড়ার পর থেকেই হাল ধরেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সৌম্য বলেন, 'শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে ছিলাম, তাই দেখে খেলছিলাম। এরপর সেট হয়ে মেরে খেলেছি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.