সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক | ১৫ জুলাই, ২০১৫
এমন সুযোগ আগে কখনও আসেনি। দেশের মাটিতে টানা চার সিরিজ জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে সিরিজ জিতলেই অসাধারণ এ প্রাপ্তিযোগ হবে।
শুরুটা হয়েছিল গত বছর জিম্বাবুয়েকে দিয়ে। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ‘বাংলাওয়াশ’ করার মাধ্যমে যে যাত্রা সে যাত্রায় সাফল্যের পালক গজিয়েছে পাকিস্তানকে তিন ম্যাচের সিরিজে আবারও বাংলাওয়াশের পর ভারতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়।
কঠিন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাত্তা না পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি প্রোটিয়ারা। প্রবল বিক্রমে সে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ সাত উইকেটের ব্যবধানে এবং হাতে অব্যবহৃত থেকে যায় ২৬-এরও বেশি ওভার।
দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো আশাবাদী করছে বাংলাদেশকে। তার ওপর বোলার, ফিল্ডার আর ব্যাটসম্যানেরা ফিরেছেন ফর্মে। আর বাংলাদেশের জন্যে ‘পয়া মাঠ’ চট্টগ্রাম সে রেকর্ড কিংবা পরিসংখ্যান ত আছেই!
বুধবার (১৫ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বেলা তিনটায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছে ফাইনালে।
চট্টগ্রামের উইকেটে কোনো ঘাস নেই, পুরোপুরি ‘ফ্ল্যাট’ উইকেটে জ্বলে উঠতে পারেন ব্যাটসম্যানরা। তবে এ জন্য রানে ফিরতে হবে তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহিমকে। অনুশীলনে সবার আগে মাঠে এসে, সবচেয়ে বেশি সময় ধরে নেটে ব্যাট করে নিজেদের ভুল-ত্রুটিগুলো শুধরে নেওয়ার দিকেই পূর্ণ মনোযোগ দিলেন এই দুই ব্যাটিং ভরসা।
উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার রানেই আছেন। চোট থেকে ফিরে দ্রুত ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তিন ধরনের ক্রিকেটেই আইসিসির অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসান নির্ভরতা যোগাচ্ছেন ব্যাটিংয়েও।
লিটন দাস, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেনদের প্রতিভা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। নিজেদের দিনে দলকে একাই টেনে নেওয়ার সামর্থ্য তাদের আছে।
সাকিব-নাসির-মাহমুদউল্লাহ থাকায় বোলিংয়ের দিকটা দুর্বল না করেও আট ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বিশ্বাস করেন, এই তিন স্পিনারের ১০ ওভার করে ওভার বল করার সামর্থ্য আছে।
চলতি বছর বাংলাদেশের সাফল্যে দারুণ অবদান দলের পেসারদের। চোটের কারণে তাসকিন আহমেদ না থাকলেও মাশরাফি-রুবেল হোসেন-মুস্তাফিজুর রহমান তার অনুপস্থিতি টের পেতে দিচ্ছেন না।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রয়েছে তরুণ মুস্তাফিজ আর দলে ফেরা রুবেলের। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ নেন তিন উইকেট আর দুই উইকেট নেওয়া রুবেলের বোলিংয়ে ছিল সেরা ছন্দে ফেরার আভাস।
এবি ডি ভিলিয়ার্সের অনুপস্থিতিতে ফাফ দু প্লেসি, জেপি ডুমিনির ওপর পড়ছে বাড়তি চাপ। আর রাইলি রুশো, ডেভিড মিলারদের জন্য স্পিন সহায়ক উইকেট একটি বড় পরীক্ষাই হবে।
কাগিসো রাবাদা, কাইল অ্যাবট, ক্রিস মরিস, ইমরান তাহিরে গড়া বোলিং আক্রমণের পঞ্চম বোলারকে ‘টার্গেট’ করতে পারে স্বাগতিকরা। ডুমিনি-ফারহান বেহারদিনের ওভারগুলোতে যত বেশি সম্ভব রান করার লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশের।
সিরিজে ১-১ এ যখন সমতা তখন অঘোষিত এক ফাইনালে রূপ নিয়েছে চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডে। দুই দল যখন জয়ের জন্যে মরিয়া তখন এক জম্পেস লড়াই আশা করতেই পারে ক্রিকেটপ্রেমিরা।