স্পোর্টস ডেস্ক | ০৬ নভেম্বর, ২০১৮
সিলেটের মাঠে জেতার ব্যাপারে আগে থেকেই সম্পূর্ণ আশাবাদী ছিলেন সফরকারী জিম্বাবুয়ের কোচ লালচাঁদ রাজপুত। যে কারণে আগের দিন (সোমবার) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ডিপ্লোমেটিক উত্তর দিয়ে বলেছিলেন, ‘ম্যাচে আমরা যে অবস্থানে ছিলাম, সেখান থেকে হারা খুব কঠিন।'
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) সিলেটের মাঠে অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশকে হারানোর পর ইতিহাসে নাম লেখানো জিম্বাবুয়ে কোচ নিজেই হাজির হন সংবাদ সম্মেলনে। উত্তর দেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমরা ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ হোয়াইটওয়াশের পরে জয় পাওয়ার জন্য ক্ষুধার্ত ছিলাম। তাই টেস্ট ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াই। আমরা আসলেই এটির জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমি আনন্দিত যে ছেলেরা তাদের মেধার প্রতি ন্যায় বিচার করেছে। এটা আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত দিন।’
লালচাঁদ আরও বলেন, 'আমরা একটা জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত ছিলাম। দক্ষিণ আফ্রিকায় মাভুতা খুব ভালো করেছে। আমি জানতাম যে লেগ স্পিনার হিসেবে সে একজন ম্যাচ উইনার। একমাত্র বার্তা ছিল যে তাকে তার স্বাভাবিক স্পিন বোলিং করতে হবে এবং বলে খুব বেশি ফ্লাইট দেওয়ার চেষ্টা করা যাবে না।'
'চতুর্থ দিনের উইকেটে বল শুধু সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। আমাদের বোলাররা ভালো বল করেছে। টেস্ট ক্রিকেট ধৈর্যের খেলা। আপনাকে সেই জটিল মুহূর্তগুলির মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং তারা সত্যিই ভালো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।'
জিম্বাবুয়ের এমন জেতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাজপুত বলেন, 'আমি ছেলেদেরকে বললাম, টেস্ট ম্যাচের আজ শেষ দিন এবং একই দিন দিওয়ালি, তাই আমি তাদেরকে বললাম যে, তারা আমাকে সবচেয়ে ভালো উপহার দিতে পারবে। তারা টেস্ট ম্যাচে জয়ী হয়েছে এবং তারা সত্যিই ভালো করেছে।'
'বছরের পর বছর ধরে জিম্বাবুয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ভালো কিছু করেনি। কিন্তু আপনি যখন জিতবেন, তখন এই সব সমস্যা একদিকে ধাক্কা দিবে। জয় আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, খেলোয়াড়দের আস্থা-আত্মবিশ্বাস সত্যিই এখন অনেক বেড়ে গেছে।'
বাংলাদেশকে পরাজিত করা তাদের জন্য একটি বিশাল অর্জন বলে মনে করেন লালচাঁদ। এই জয় জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে আমরা কেবলমাত্র দেশেই জিততে পারি না, আমরা বিদেশেও জয়ী হতে পারি। এটি প্রথম ধাপ।'
সফরকারী জিম্বাবুয়ে কোচ বলেন, '৯০ এর দশকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে দেখলে সেসময় তাদের চমৎকার দল ছিল। এখন বিশ্বজুড়ে দলগুলি জেনে রাখবে, জিম্বাবুয়ে আগের দলটিতে ফিরে আসছে। এই জয় নিশ্চিতভাবেই পুনরুজ্জীবিত করবে, খেলোয়াড়দের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনবে।