Sylhet Today 24 PRINT

চিটাগংয়ের রানের চাকায় পিষ্ট খুলনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক |  ১৯ জানুয়ারী, ২০১৯

হারের বৃত্ত থেকে যেন বেরই হতে পারছে না খুলনা টাইটান্স। চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে এবার মাহমুদউল্লাহর দল হেরেছে ২৬ রানে। এ নিয়ে সাত ম্যাচের ছয়টিতেই হার দেখল মাহেলা জয়াবর্ধনের শিষ্যরা। ফলে বিপিএলে প্লে-অফ খেলার স্বপ্নও বলতে গেলে ধূসর হয়ে গেল দলটির।

সিলেট পর্বের শেষ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৪ রান করে চিটাগং। যা বিপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ টোটাল অবশ্য ঢাকা ডায়নামাইটসের দখলে। ২০১৩ সালের আসরে ৪ উইকেটে ২১৭ রান করেছিল তারা।

টিটাগংয়ের দেওয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এক মাহমুদউল্লাহ ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। খুলনার প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের রান ০, ১২ ও ৫। এর মধ্যে গেল ম্যাচে ঝড় তোলা জুইনাইদ ও আল আমিন আউট হয়েছেন যথাক্রমে ১২ ও ৫ রানে।

এরকম একটা শুরুর পর ঘুরে দাঁড়ানো বেশ কঠিনই। সেই কঠিন কাজটাই ব্রেন্ডন টেইলরকে নিয়ে করছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দুই জন মিলে দলের স্কোর দ্রুতই রান তুলছিলেন। কিন্তু তাতে বাধ সাধেন নাঈম হাসান। বোল্ড করেন টেইলরকে। আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ২৮ রান করেছেন তিনি। খুলনার দলীয় রান তখন ৮৬।

এরপর দলীয় ১০২ রানে চূড়ান্ত ধাক্কাটি খায় তারা। মাহমুদউল্লাহকে বোল্ড করেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। ফলে ৫০ রানে থেমে যায় খুলনার অধিনায়কের ঝড়ো ইনিংসটি। তার ২৬ বলের ইনিংসটিতে ছিল চারটি ছক্কা ও ৩টি চারের মার। আর এখানেই নিভে জায় খুলনার জয়ের আশার অবশিষ্ট আলো।

তারপর বাকী সময়টা ছিল নিছক আনুষ্ঠানিকতা। অবশ্য শেষ দিকে তাইজুল ইসলামকে নিয়ে ঝড় তোলেন ডেভিড ওয়েসি। দুইজনের জুটিতে দ্রুতই উঠে আসে ৬৫ রান। কিন্তু ওয়েসি আউট হয়ে গেলে সেই প্রতিরোধও থেমে যায়। খালেদ আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে ২০ বলে ৪০ রান করেছেন ওয়েসি। মেরেছেন ৪টি ছক্কা ও ২টি চার।

সর্বশেষ ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৮ রান পর্যন্ত করতে পারে খুলনা। তাইজুল ২২ও লাসিথ মালিঙ্গা ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

চিটাগংয়ের হয়ে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহী। এছাড়া দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ ও ডেলপোর্ট।

এর আগে টসে হেরে খুলনার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট নিয়ে অবশ্য ভালো শুরু হয়নি চিটাগংয়ের। ভাইকিংসদের দলের ১৭ রানের মাথায় ডেলপোর্ট এবং ৫৩ রানে ফিরে যান শাহজাদ। আফগান উইকেটরক্ষক করেন ১৭ বলে ৩৩ রান। এরপর ইয়াসির আলী এবং মুশফিক দারুণ জুটি গড়েন। দু'জনে মিলে তুলে ফেলেন ৮৩ রান। স্থানীয় ক্রিকেটার ইয়াসির ৩৬ বলে তিন ছক্কা ও পাঁচ চারে ৫৪ রান করে ফেরেন।

এরপর মুশফিক ৩৩ বলে আট চার ও এক ছয়ে ৫২ রান করে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। শেষটায় দানুশ শানাকার ১৭ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংসে দুইশ' ছাড়ানো সংগ্রহ পায় চিটাগং। এছাড়া আফগান নাজিবুল্লাহ জাদরান ৫ বলে ১৬ রান করেন। খুলনার হয়ে ডেভিড ওয়াইস ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। বাকিরা সমানে চার-ছক্কা খেয়েছেন চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানদের কাছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.