Sylhet Today 24 PRINT

টটেনহামকে স্রেফ উড়িয়ে দিল বায়ার্ন

স্পোর্টস ডেস্ক |  ০২ অক্টোবর, ২০১৯

ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

আর্সেনালের একাডেমি থেকে উঠে এসেছেন সের্গে গিনাব্রি। কাল নেমেছিলেন টটেনহাম হটস্পার্সের মাঠে। উত্তর লন্ডনের ক্লাবটির সঙ্গে তাদের প্রতিবেশী আর্সেনালের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আজকের কথা না। কাল জয়ের পর টটেনহামকে নিয়ে রসিকতা করতেও ছাড়েননি বায়ার্ন মিউনিখের এ উইঙ্গার, ‘উত্তর লন্ডন এখন লাল।’

চ্যাম্পিয়নস লিগে কাল রাতে ম্যাচটি দেখে থাকলে জিনাব্রির ‘লাল’কে প্রতীকী শব্দ ভেবে নিতে পারেন। ওটা আসলে এক অর্থে ‘রক্তাক্ত’ই—বায়ার্নের কাছে টটেনহামের হারের ব্যবধান যে ৭-২!

টুইটারে রসিকতার আগে গতবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলা দলটিকে মাঠের লড়াইয়েও ভীষণভাবে পর্যুদস্ত করেছেন গিনাব্রি। দ্বিতীয়ার্ধে একাই করেছেন ৪ গোল! আসলে ইংলিশ ক্লাবটিকে নিয়ে তাদেরই মাঠে ছেলেখেলা করেছে বায়ার্ন।

জার্মান চ্যাম্পিয়নদের জাগিয়ে দিয়েছিল টটেনহামই। ম্যাচের ১২ মিনিটে গোল করেন দলটির ফরোয়ার্ড সন হিউং-মিন। জবাব দিতে তিন মিনিট সময় নিয়েছে বায়ার্ন। জশুয়া কিমিখের গোলে সমতায় ফেরে তারা। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেভানডভস্কি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে বায়ার্নকে ধরা দূরের কথা, ম্যাচের বাকি সময়ে টটেনহাম ডিফেন্ডারদের মতো সমর্থকদের প্রাণও ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল। শুধু গোল আর গোল হজম।

চ্যাম্পিয়নস লিগে কাল রাতে টটেনহাম হটস্পার্সকে ৭-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। একাই চার গোল করেন বায়ার্ন উইঙ্গার সের্গে গিনাব্রি।

গোল হজমের কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়। হ্যারি কেনের সৌজন্যে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল দিয়েছিল টটেনহাম। কিন্তু ৫৩ থেকে ৮৭—এই ৩৪ মিনিটের ব্যবধানে টটেনহাম পাঁচ-পাঁচটি গোল হজম করায় কেনের গোলটি ভুলে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। অরিয়ের-ভার্টোগেনদের বাজে ডিফেন্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে ৫৩, ৫৫, ৮৩ ও ৮৮ মিনিটে চার গোল করেন গিনাব্রি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে কোনো ম্যাচে এ পর্যন্ত দুজন খেলোয়াড় চার গোলের দেখা পেয়েছেন—লিওনেল মেসি ও গিনাব্রি। আর মারিও গোমেজের পর দ্বিতীয় জার্মান হিসেবে এক ম্যাচে চার গোল করলেন গিনাব্রি।

বায়ার্নের গোল উৎসব সহ্য হয়নি টটেনহামের বেশির ভাগ সমর্থকদের। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মিনিট দশেক বাকি থাকতে গ্যালারি ছাড়তে শুরু করেন স্বাগতিক দর্শকেরা। প্রিয় ক্লাবকে চোখের সামনে এভাবে পর্যুদস্ত হতে দেখা কষ্টকরই বটে। ১৯৯৫ সালে উয়েফা ইন্টারতোতো কাপের পর ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় কোনো ম্যাচে ৭ গোল হজম করা প্রথম ইংলিশ ক্লাব যে টটেনহাম। দুই যুগ আগের সে টুর্নামেন্টে কোলনের কাছে আট গোল হজম করেছিল এই টটেনহামই।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.