Sylhet Today 24 PRINT

ব্যালন ডি’অর জিতলেন মেসি-মেগান

স্পোর্টস ডেস্ক |  ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

পুরুষদের ফুটবলে ব্যালন ডিঅর জিতেছেন লিওনেল মেসি, নারীদের ফুটবলে এই পুরস্কার জিতেছেন মেগান র‌্যাপিনো

গত মৌসুমে লা লিগায় বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি করেন সর্বাধিক গোল। বার্সা জিতে লা লিগার শিরোপাও। এরপর জেতেন ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারও। আর এবার পুরুষদের ক্যাটাগরিতে ব্যালন ডি’অর জিতে পেলেন তার ফুটবল নৈপুণ্যের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। আর মেয়েদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপজয়ী দলের সুপারস্টার মেগান র‌্যাপিনো জিতেছেন এই পুরস্কার।

এবার ব্যালন ডি'অর অনুষ্ঠানে মোট চারটি পুরস্কার দেওয়া হয়। বর্ষসেরা ফুটবলার পুরুষ ও নারী, অনূর্ধ্ব-২১ বছর বয়সী সেরা ফুটবলারের কেপা ট্রফি এবং সেরা গোলরক্ষকের ইয়াসিন ট্রফি। তবে সকল আলোচনা মূলত ব্যালন ডি’অরকে ঘিরে। আর এই পুরস্কার এবার পেয়েছেন মেসি ও মেগান।

সোমবার ফ্রান্সের প্যারিসে এই পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠবারের মত মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার জিততে লিওনেল মেসি হারিয়েছেন ভার্জিল ফন ডাইক ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে।

এদিকে, কিংবদন্তি গোলরক্ষক লেভ ইয়াসিনের নামে প্রথমবারের মত গোলরক্ষকদের ব্যালন ডি'অর 'ইয়াসিন ট্রফি' জিতেছেন লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। সেরা অনূর্ধ্ব-২১ ফুটবলারের পুরস্কার ‘কোপা অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন এই মৌসুমে আয়াক্স থেকে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়া মাটাইস ডি লিখট।

এনিয়ে ষষ্ঠবারের মত ব্যালন ডি’অর জিতলেন লিওনেল মেসি। এবার তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে এই পুরস্কারপ্রাপ্তিতে টপকে গেলেন। রোনালদো জিতেছেন পাঁচবার।

গতবার পুরুষদের মধ্যে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন লুকা মদ্রিচ। রিয়াল মাদ্রিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে তার বড় ভূমিকা ছিল। অসাধারণ খেলেছিলেন রাশিয়া বিশ্বকাপে। তার দেশ ক্রোয়েশিয়া অবশ্য শেষ পর্যন্ত ফাইনালে হেরে যায় ফ্রান্সের কাছে।

পুরস্কারের জন্য মোট ৩০ জন চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন। যা দেয় ফ্রান্সের এক একটি পত্রিকা। সেরা বাছাইয়ের জন্য হয় ভোটাভুটি। ভোট দেন বিশ্বের মোট ১৮০ জন সাংবাদিক। এ ছাড়াও ভোট দেন অধিনায়ক ও কোচেরা।

১৯৫৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর ট্রফিটা দেওয়া হতো শুধুই ইউরোপসেরা ফুটবলারদের। তখন নাম ছিল 'ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলার'। পুরস্কারটা দিত উয়েফা ও 'ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিন'। বিশ্বসেরা ফুটবলারকে পুরস্কৃত করার রীতিটা ফিফা চালু করে ১৯৯১ সালে। ২০১০ সালে একটা বড় বাঁক আসে ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারের নামফলকে। ব্যালন ডি’অর ট্রফি ও এর স্বত্বাধিকার ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিনকে যুক্ত করা হয় ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারের সঙ্গে। ২০১০ সাল থেকে পুরস্কারটির নাম হয়ে যায় ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কার।

ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর তালিকা: ১৯৫৬ স্ট্যানলি ম্যাথিউস (ইংল্যান্ড); ১৯৫৭ আলফ্রেডো ডি স্টিফানো (স্পেন); ১৯৫৮ রেমন্ড কোপা (ফ্রান্স); ১৯৫৯ আলফ্রেডো ডি স্টিফানো (স্পেন); ১৯৬০ লুইস সুয়ারেজ (স্পেন); ১৯৬১ ওমর সিভোরি (ইতালি); ১৯৬২ জোসেফ মাসোপুস্ট (চেক প্রজাতন্ত্র); ১৯৬৩ লেভ ইয়াচিন (ইএসএসআর); ১৯৬৪ ডেনিস ল (স্কটল্যান্ড); ১৯৬৫ ইউসেবিও (পর্তুগাল); ১৯৬৬ ববি চার্লটন (ইংল্যান্ড); ১৯৬৭ ফ্লোরিয়ান অ্যালবার্ট (হাঙ্গেরি); ১৯৬৮ জর্জ বেস্ট (নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড); ১৯৬৯ গিয়ানি রিভেরা (ইতালি); ১৯৭০ গার্ড মুলার (জার্মানি)।

১৯৭১ ইয়োহান ক্রুইফ (নেদারল্যান্ডস); ১৯৭২ ফ্র্যাঞ্জ বেকেনবাওয়ার (জার্মানি); ১৯৭৩ ইয়োহান ক্রুইফ (নেদারল্যান্ডস); ১৯৭৪ ইয়োহান ক্রুইফ (নেদারল্যান্ডস); ১৯৭৫ ওলেগ ব্লোকহাইন (ইউআরএসএস); ১৯৭৬ ফ্র্যাঞ্জ বেকেনবাওয়ার (জার্মানি); ১৯৭৭ অ্যালান সিমোনসেন (ডেনমার্ক); ১৯৭৮ কেভিন কিগান (ইংল্যান্ড); ১৯৭৯ কেভিন কিগান (ইংল্যান্ড); ১৯৮০ কার্ল-হেইঞ্জ রুমিনিগে (জার্মানি); ১৯৮১ কার্ল-হেইঞ্জ রুমিনিগে (জার্মানি); ১৯৮২ পাওলো রসি (ইতালি); ১৯৮৩ মিশেল প্লাতিনি (ফ্রান্স); ১৯৮৪ মিশেল প্লাতিনি (ফ্রান্স); ১৯৮৫ মিশেল প্লাতিনি (ফ্রান্স); ১৯৮৬ ইগোর বেলানোভ (ইউএসএসআর); ১৯৮৭ রুড গুলিত (নেদারল্যান্ডস); ১৯৮৮ মার্কো ভ্যান বাস্তেন (নেদারল্যান্ডস); ১৯৮৯ মার্কো ভ্যান বাস্তেন (নেদারল্যান্ডস); ১৯৯০ লোথার ম্যাথিউস (জার্মানি)।

১৯৯১ জিন-পিয়েওে পাপিন (ফ্রান্স); ১৯৯২ মার্কো ভ্যান বাস্তেন (নেদারল্যান্ডস); ১৯৯৩ রবার্তো ব্যাজিও (ইতালি); ১৯৯৪ রিস্টো স্টোইকোভ (বুলগেরিয়া); ১৯৯৫ জর্জ ওয়েহ (লাইবেরিয়া); ১৯৯৬ ম্যাথিয়াস সামির (জার্মানি); ১৯৯৭ রোনাল্ডো (ব্রাজিল); ১৯৯৮ জিনেদিন জিদান (ফ্রান্স); ১৯৯৯ রিভালদো (ব্রাজিল); ২০০০ লুইস ফিগো (পর্তুগাল)।

২০০১ মাইকেল ওয়েন (ইংল্যান্ড); ২০০২ রোনাল্ডো (ব্রাজিল); ২০০৩ পাভেল নেদভেদ (চেক প্রজাতন্ত্র); ২০০৪ আন্দ্রেই শেভচেনকো (ইউক্রেন); ২০০৫ রোনালদিনহো (ব্রাজিল); ২০০৬ ফ্যাবিও ক্যানাভারো (ইতালি); ২০০৭ কাকা (ব্রাজিল); ২০০৮ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল); ২০০৯ লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা); ২০১০ লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)।

২০১১ লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা); ২০১২ লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা); ২০১৩ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল); ২০১৪ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল); ২০১৫ লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা); ২০১৬ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল); ২০১৭ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল); ২০১৮ লুকা লদ্রিচ (ক্রোয়েশিয়া), এবং ২০১৯ লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)।

৩০ জনের তালিকায় কার কোন অবস্থান
১. লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা, আর্জেন্টিনা)
২. ভার্জিল ফন ডাইক (লিভারপুল, নেদারল্যান্ডস)
৩. ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (জুভেন্টাস, পর্তুগাল)
৪. সাদিও মানে (লিভারপুল, সেনেগাল)
৫. মোহামেদ সালাহ (লিভারপুল, মিশর)

এছাড়াও আছেন যথাক্রমে- কিলিয়ান এমবাপে (পিএসজি, ফ্রান্স); অ্যালিসন বেকার (লিভারপুল, ব্রাজিল); রবের্ত লেভানদোভস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ/পোল্যান্ড); বের্নার্দো সিলভা (ম্যানচেস্টার সিটি, পর্তুগাল); রিয়াদ মাহরেজ (ম্যানচেস্টার সিটি, আলজেরিয়া); ফ্রেংকি ডি ইয়ং (বার্সেলোনা/নেদারল্যান্ডস); রাহিম স্টার্লিং (ম্যানচেস্টার সিটি, ইংল্যান্ড); এদেন আজার (রিয়াল মাদ্রিদ, বেলজিয়াম); কেভিন ডি ব্রুইনে (ম্যানচেস্টার সিটি/বেলজিয়াম); মাটাইস ডি লিখট (জুভেন্টাস, নেদারল্যান্ডস); সের্হিও আগুয়েরো (ম্যানচেস্টার সিটি/আর্জেন্টিনা); রবের্তো ফিরমিনো (লিভারপুল/ব্রাজিল); অঁতোয়ান গ্রিজমান (বার্সেলোনা/ফ্রান্স); ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ড (লিভারপুল/ইংল্যান্ড); পিয়েরে-এমেরিক আউবামেয়াং (আর্সেনাল/গ্যাবন) এবং দুসান তাদিচ (আয়াক্স/সার্বিয়া); সন হিউং-মিন (টটেনহ্যাম হটস্পার/দক্ষিণ কোরিয়া); উগো লরিস (টটেনহ্যাম হটস্পার/ফ্রান্স); কালিদু কলিবালি (নাপোলি/সেনেগাল) এবং মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন (বার্সেলোনা, জার্মানি); করিম বেনজেমা (রিয়াল মাদ্রিদ এবং ফ্রান্স, জর্জিনিয়ো ভিনালডাম (লিভারপুল/নেদারল্যান্ডস); জোয়াও ফেলিক্স (আতলেতিকো মাদ্রিদ, পর্তুগাল) এবং মার্কিনিয়োস (পিএসজি, ব্রাজিল) ও ডনি ফন ডি বিক (আয়াক্স/নেদারল্যান্ডস)।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.