Sylhet Today 24 PRINT

ক্রিকেট কূটনীতিতে হারেননি, দাবি পাপনের

স্পোর্টস ডেস্ক |  ১৫ জানুয়ারী, ২০২০

পাকিস্তানের মাটিতে প্রথমে টেস্ট সিরিজ নয় কেবল টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রস্তাব মানেনি পাকিস্তান। শেষমেষ পাকিস্তানের দাবিতেই নত হতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। আইসিসির এফটিপির বাইরেও আরও একটি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে এবার। সূচি অনুযায়ী পাকিস্তানের মাটিতে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ না থাকলেও এবার সেটাও খেলতে হবে বাংলাদেশকে।

পিসিবির দাবির কাছে পরাজিত হয়ে এখন তিন মাসে তিন-তিনবার পাকিস্তান যেতে হবে পুরুষ ক্রিকেট দলকে। মঙ্গলবার দুবাইয়ে আইসিসির সদর দপ্তরে জরুরি বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানির মধ্যকার ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর।

নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী তিন মাসে তিনবার পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় জানুয়ারিতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সেখানে যাবে তারা। সবকটি ম্যাচ হবে লাহোরে।

দ্বিতীয় দফায় ফেব্রুয়ারিতে একটি টেস্ট খেলতে দেশটিতে যাবেন টাইগাররা। ম্যাচটি হবে রাওয়ালপিন্ডিতে। আর তৃতীয় ধাপে এপ্রিলে একটি ওয়ানডে এবং টেস্ট খেলতে সেখানে যাবেন তারা। ম্যাচ দুটি গড়াবে করাচিতে।

সব চূড়ান্ত করে বুধবার বেলা ১১টার দিকে দেশে ফিরে আসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রশ্ন ওঠে পাকিস্তান সফর নিয়ে বিসিবির কূটনৈতিক পরাজয় হয়েছে কিনা?

জবাবে বোর্ডপ্রধান বলেন, সবকিছু ভেবেচিন্তেই পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাচ্ছি। এটি বিসিবির কূটনৈতিক পরাজয় নয়। আমাদের চাওয়াতেই সব হয়েছে। চূড়ান্ত সূচি করা হয়েছে।

তা হলে এফটিপির বাইরে গিয়ে একটি ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো কেন? উত্তরে পাপন বলেন, দ্বিতীয় টেস্টের প্রস্তুতি হিসেবে একটি ওয়ানডে যোগ হয়েছে। প্রথমে আরও একটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা বলছিল পাকিস্তান। যেহেতু সূচিতে পরে টেস্ট আছে, তাই আমাদের ওয়ার্মআপের দরকার। এ জন্য ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে বেশি ওভার খেলা যাবে। প্রস্তুতিটাও ভালো হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.