Sylhet Today 24 PRINT

ভয়ের মধ্যেই কমলগঞ্জে ঈদের কেনাকাটা

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি |  ২০ মে, ২০২০

বৈশ্বিক মহামারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়কে উপেক্ষা করে মৌলভীবাজাররে কমলগঞ্জে চলছে জমজমাট ঈদ মার্কেটিং। কমলগঞ্জের ভানুগাছ বাজার, শমশেরনগর, মুন্সীবাজার, আদমপুর বাজারসহ উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে বিপণী বিতানগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

কোন প্রকার সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে ঈদের কেনাকাটা। গ্রামীণ হাট-বাজারে মোটামুটি ক্রেতাদের উপস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও শহরের দোকানপাট গুলোতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে উপলক্ষ করে এই ভিড় যেনো হয়ে উঠেছে দ্বিগুণ, এ যেনো স্বাভাবিক এক কমলগঞ্জ, ঈদের আমেজ নিয়ে মাঠে নামা ক্রেতাদের উপস্থিতিতে কারো চোখে মুখেই যেনো দেখা মিলছেনা করোনা ভয়, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মানুষের ব্যাপক মৃত্যু যেনো এই ভিড়ের কাছে হয়ে উঠেছে প্রশ্নবিদ্ধ।

স্থানীয় প্রশাসন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তাতে কোন ফল হচ্ছেনা। প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সকাল থেকে বিকাল ৪টার পরেওÍ শহরের অধিকাংশ পোশাকের দোকানে চলেছে জমজমাট কেনাকাটা। ঈদের শপিং করতে আসা ক্রেতাদের মাঝে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সকল শ্রেণীর মানুষকেই। আনাগোনা শুরু হয়েছে কিশোরী, তরুণী, শিশু কিংবা বৃদ্ধ শ্রেণীর, ফলাফল কতটা ভয়াবহ হতে পারে এমন ভাবনা না করেই মার্কেটে আসা এসব মানুষের অনেকেরই নেই মাস্ক, নেই সামাজিক দূরত্বের ছিটেফোঁটা। গায়ে গা মিলিয়ে চলছে ঈদ আনন্দে কেনাকাটা।

বিজ্ঞাপন

অনেক দোকানে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার, নেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন আলামত কিংবা নির্দেশনা, মাস্ক নেই এমন বিক্রেতাকেও চোখে পড়ছে হরহামেশাই। জনমনে ভয়ভীতি কাজ না করায় তবে কি কমলগঞ্জবাসীর এমন অবাধে চলাফেরা কিংবা শপিং করতে ভিড় সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির ঘাটতি নাকি মৃত্যুর মিছিলে অংশ নেওয়ার নীরব আয়োজন? কমলগঞ্জের শপিং পয়েন্টগুলো কি তবে হয়ে উঠতে চলছে আত্মঘাতী কোন বিস্ফোরণের উৎপত্তি স্থল? নাকি বাণিজ্যের কাছে হার মানতে চলছে মৃত্যু?

বিষয়টি নিয়ে বিশিষ্টজনরা বলেন, মানুষের মধ্যে করোনার কোন ভয় নেই। ধনী দরিদ্র থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ অন্যান্য বছররে ন্যায় এ বছরও  ঈদের কেনাকাটায় মেতে উঠেছে। হাট-বাজারে মানুষের ভিড় দেখে মনে হয় দেশে করোনা বলে কোন ভাইরাস নেই। মানুষের এই অসচেতনতা কমলগঞ্জবাসীর জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলেও তারা মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে আলাপকালে কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট নাসরিন চৌধুরী বলেন, আমরা প্রায়শই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছি। তাছাড়া ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন মাঠে কাজ করছে। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.