Sylhet Today 24 PRINT

ঘুর্ণিঝড় আম্পান: পাকা ধান নিয়ে বিপাকে শায়েস্তাগঞ্জে কৃষকরা

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি |  ২০ মে, ২০২০

ঘুর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে পাকা বোরো ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন শায়েস্তাগঞ্জের কৃষকরা। গত কয়েকদিন যাবত রোদ আর মেঘের লুকোচুরি চলছে। কৃষকের স্বপ্নে বাধা হয়ে দাড়িয়ে চোখ রাঙাচ্ছে ঝড় আর বৃষ্টি।  

মঙ্গলবার রাতে পুরো শায়েস্তাগঞ্জে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। বুধবারও থেমে থেমে ঝড় আর বৃষ্টি হচ্ছে।

পাকা ধানের নিম্মাঞ্চলের জমিতে বৃষ্টি আর ঢলের পানিতে প্রায় হাঁটু জলে পরিণত হয়েছে। অনেক জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পাকা ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। আবার অনেকেই পাকা ধান কেটে সিদ্ধ দিয়েছেন, কিন্তু রোদে শুকাতে না পেরে সেই ধান নষ্ট হচ্ছে। চলতি মৌসুমে কৃষকরা ইরি-বোরো ধানের ভালো ফলনের আশা করলেও গত মঙ্গল ও বুধবার ঝড় আর বৃষ্টির কারণে ধানের ক্ষতি হওয়ায় ফসল নিয়ে চাষিরা শংকায় পড়েছেন।

স্থানীয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদেরকে দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুরাবই গ্রামের কৃষক মো: কামরুল হাসান জানান, আমি এ বছর ১০ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ইতিমধ্যেই ধান কাটা শুরু করেছি ফলন ভালই হচ্ছে। গত  কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে আমার প্রায় ৬ বিঘা জমির জিরা জাতের ধান মাটিতে পড়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন


এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো। জমিগুলোতে ঢলের পানি জমে যাওয়ায় বিঘা প্রতি অতিরিক্ত মজুরী গুণতে হচ্ছে।

কাজীরগাও গ্রামের কৃষক আব্দুল আমিন দুলাল বলেন, এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হইছে। তবে ঝড় বৃষ্টির কারনে অনেক জায়গার ধানই পানিতে তলিয়ে গেছে। অর্ধেক ধান পাওয়া যাবে বাকি ধান নষ্ট হয়ে যাবে।

উবাহাটা গ্রামের হাজী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমি ১৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। প্রায় সবগুলো জমির ধান কাটার উপযোগী হয়ে গেছে। এরমধ্যে কিছুর জমির ধান কেটে সোমবারে ২০ মণ ধান সিদ্ধ দিয়েছি কিন্তিু রোদের অভাবে ধানে গন্ধ চলে আসছে।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব) সুকান্ত ধর জানান, এ বছর শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল জমি ১৩৫০ হেক্টর। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৪৫ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে।

ধান কাটার জন্য উপজেলার ব্রাক্ষণডুরা ইউনিয়ন ও শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নে ২টি মেশিন দেয়া হয়েছে। মেশিনের পেছনে মোবাইল নাম্বার দেয়া আছে, যে কেউ ফোন করলে ধান কেটে দেয়া হচ্ছে।

ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফসলের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কিছুটা ক্ষতি হবেই, প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। আমরা যতটুকু পারছি চেষ্টা করছি কৃষকদের পাশে থাকার।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.