Sylhet Today 24 PRINT

১৫ বছর ধরে বিকল হাসপাতালের এক্সরে মেশিন

তাহিরপুর প্রতিনিধি  |  ২৯ মে, ২০২০

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার পর একটি এক্সরে যন্ত্র দেওয়া হয়। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার অসহায় ও গরীব মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য এই এক্সরে মেশিনটি দেওয়া হলেও, ১৫ বছরেও চালু হয়নি এটি। এদিকে তাহিরপুর উপজেলার লোকজন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, বিশম্ভরপুর উপজেলার কিছু লোকজনও এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। জরুরী প্রয়োজনে এক্সরে করাতে না পেরে তারাও বিপাকে পরেন। ফলে সর্বস্থরের জনসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, মত ২০০৫ সালে একটি এক্সরে মেশিন দেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এতে করে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বৃহদাংশের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ও গাফিলতির কারণে টানা অদ্যবদি বাক্সবন্দি অবস্থায় একটি কক্ষে পরে আছে। এটি এখন পুরোপুরি অচল যন্ত্রে পরিণত হচ্ছে। যার ফলে স্থানীয় এলাকাবাসীর হাত, পা ভেঙ্গে গেলে হাসপাতালে গিয়েও কোনো কাজ হয় না। এক্সরে মেশিন নষ্ট হওয়ায় এক্সরে করাতে হলে যেতে হয় বাহিরে।

বিজ্ঞাপন

উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টাংগুয়ার হাওর পাড়ের বাসিন্দা সাজিদ মিয়া বলেন, তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আমার এক আত্মীয়কে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে হাতের এক্সরে করাতে হবে জানানো হয়। শুনেছিলাম হাসপাতালে এক্সরে মেশিন আছে। এখন এক্সরে করাতে গিয়ে শুনি মেশিন নষ্ট। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে অন্য প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে এক্সরে করা তে হয়েছে।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম বলেন, ১৫ বছর পূর্বে এক্সরে মেশিন হাসপাতালে আসলেও একদিনের জন্যও কাজে লাগেনি উপজেলাবাসীর। এটা খুবই দুঃখজনক। এই মেশিন চালু করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ইকবাল হোসেন বলেন, এক্সরে মেশিন নষ্ট। নতুন এক্সরে মেশিন বরাদ্দের জন্যও কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.