Sylhet Today 24 PRINT

বানিয়াচংয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে

বানিয়াচং প্রতিনিধি  |  ২৯ জুলাই, ২০২০

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের বনমথুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ জানানো হয়েছে। এই সুপারিশ ও তদন্তের কপি ইতিমধ্যে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে জমা দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পুকুর লীজের টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের গাছ কর্তন, অভিভাবকদের সাথে অসদাচরণসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত বছরের পহেলা অক্টোবর বনমথুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হামদু মিয়া এলাকাবাসীর স্বাক্ষর নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এ অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাবরেও প্রেরণ করা হয়েছিল।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, বনমথুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যালয়ের মাঠে রোপনকৃত কয়েকটি গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এর ফলশ্রুতিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম রাতের আধারে পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ কাউকে না জানিয়ে নিলাম ছাড়াই গাছ বিক্রি করে দেন। যার বাজার মূল্য ছিল ১ লাখ টাকার মতো। উর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তা বা কোন জনপ্রতিনিধি বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসলে তাদের সাথে অপমানজনক ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। তা ছাড়া এলাকার অভিভাবকদের সাথেও যাচ্ছেটাই ব্যবহার করেন মনিরুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে বিগত বিশ বছর যাবত বিদ্যালয়ের পুকুর অবৈধভাবে লীজ দিয়ে সেই লীজের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন মর্মে অভিযোগে তুলে ধরা হয়।

এ নিয়ে গত বছরের ২৪ নভেম্বর বেশ কয়েকটি পত্রিকায় শিক্ষক মনিরুল ইসলামের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল আলমকে প্রধান করে ৩সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দেন। দীর্ঘদিন এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চলা তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে অবশেষে এই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পাশাপাশি একটি সুপারিশও করা হয়েছে তদন্তে রিপোর্টে। এই রিপোর্ট আমরা অচিরেই জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠিয়ে দিব।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.