Sylhet Today 24 PRINT

ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ মানুষ

তাহিরপুর প্রতিনিধি  |  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন মানুষজন। গরমে মানুষ, পশু-পাখিসহ সব প্রাণীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। প্রকৃতিতে সুনসান নীরবতা। নড়ছে না গাছের পাতাও। দাবদাহর এর সাথে নেই বিদ্যুৎ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে কর্মহীন করে তুলছে শ্রমজীবী মানুষদের। প্রকৃতির এই পরিবর্তনে অস্বস্তিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মানুষের জনজীবন।

জানা যায়, সুনামগঞ্জে তাহিরপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও আজ রোববার ছিল ৩৬ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেট অঞ্চলে দাবদাহ আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়।

এদিকে গরম থেকে রক্ষা পেতে কেউ বসছেন গাছ তলায়। হাট-বাজারে মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে। হঠাৎ গরম আবহাওয়ায় বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছে না। বিশেষ করে শিশু আর বয়স্করা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

প্রচণ্ড গরম প্রভাব ফেলেছে পেশাজীবী মানুষের মাঝে। দিনের প্রথমভাগে মানুষ কাজ শুরু করলেও তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তৎপরতা কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে তেমন একটা বাইরে বের হচ্ছেন না। দিনের সূর্যের তাপ রাতে না থাকলেও সূর্যতাপের রেশ থাকছে মধ্যরাত পর্যন্ত।

বাদাঘাট বাজারে ব্যবসায়ী রাশিদ ভুঁইয়া জানান, প্রচণ্ড গরমে বাজারে মানুষ আসছে না, বেচাকেনা একবারেই নেই। আর বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানে বসে থেকে বেশি দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জীবন।

রিকশাচালক আবির উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরমে সকাল বেলা রিকশা চালাতে পারলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে গরমে পরিমাণ বেরে যায়। তখন রিকশা চালাতে কষ্ট হয়। গরমের কারণে রাস্তাঘাটে মানুষও নেই।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন চন্দ্র বর্মন বলেন, জ্বর, সর্দি, কাশি গরমজনিত রোগবালাই বেড়েছে। প্রচণ্ড গরমে সবচেয়ে বেশি বিপাকে শিশু ও বয়স্করা। তাই বেশি বেশি পানি, তরল খাবার, ফলের রস ও সুতি কাপড় পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.