Sylhet Today 24 PRINT

প্রতারণার অভিযোগে চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে বোনের সংবাদ সম্মেলন

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি |  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সিলেটের বিশ্বনাথে আপন চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, মিথ্যা জালিয়াতি মামলা, বাড়ির জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকিসহ আরও নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদেরই চাচাতো বোন ফুলতেরা বেগম (৫৫)।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনকারী ফুলতেরা বেগম উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পালেরচক গ্রামের মৃত ইছাক আলীর মেয়ে। আর অভিযুক্ত চাচাতো ভাই একই বাড়ির বাসিন্দা মৃত ইশরাদ আলীর ছেলে রামপাশা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জমির আলী (৬২) এবং অপর চাচাতো ভাই মৃত ইলিয়াছ আলীর ছেলে তফুর আলী ওরফে নেফুর আলী (৫২)।

লিখিত বক্তব্যে ফুলতেরা বেগম বলেন, পৈতৃক সম্পত্তি থেকে তাদেরকে বিরত করে চাচাতো ভাইরা প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকিসহ নানা ধরনের হয়রানি করে যাচ্ছেন। তারা প্রতারণা করে ১৯৯১ সালে তার বাবার নাম বাদ দিয়ে বাড়ির ৫৫ শতক জায়গা তাদের বাবার নামে রেকর্ডভুক্ত করেন, (যার জেএল নং ৬৩ ও দাগ নং সাবেক ৩৮৭ ও বর্তমান ৯৯৭)। অথচ, ১৯৫২/৫৩ সালের সেটেলমেন্ট জরিপে তাদের বাপ-চাচা তিনজনের নামে রেকর্ডভুক্ত ছিল। পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেতে ২০১৮ সালের ১১ মার্চ তিনি আদালতে স্বত্ব ভাটোয়ারা মামলাও করেছেন। তার দায়েরকৃত ৩২/২০১৮ইং নং স্বত্ব মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

ফুলতেরা বেগম অভিযোগ করেন, ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর জমির আলী ও তফুর আলী মিলে তার ছোট ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী দাদুভাই ছইল মিয়া (৪৬) ও মুনসুর মিয়াকে (৪২) ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে প্রবাসে থাকাবস্থায় তাদের ছবি, নাম-ঠিকানা ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বুবরাজান মৌজার দলিলপত্র না দিয়ে টেংরা মৌজার দলিল উপস্থাপন করে বিশ্বনাথ ভূমি অফিসে একটি মিথ্যা নামজারির মোকদ্দমা করেন, মোকদ্দমা নং ৮৪৩/১১-১২। পরিকল্পিতভাবে ওই নামজারি মোকদ্দমা করে তারাই আবার সিলেট আদালতে আমার প্রবাসী দুই ভাইকে আসামি করে পৃথক দুটি মিথ্যা জালিয়াতি মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১ জুলাই সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলি আদালতে জমির আলীর দায়ের করা (জিআর মামলা নং ১৩৯/১৯) নং মামলাটি সিলেটের সিআইডি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক তদন্তপূর্বক গত ১৬ সেপ্টেম্বর মিথ্যা বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ২০১৯ সালের ১১ জুলাই একই ধারায় একই আদালতে অপর চাচাতো ভাই তফুর আলী ওরফে নেফুর আলীর দায়ের করা (মমালার জিআর নং ১৪৪/১৯ইং) নং রহস্যজনক কারণে অপর সিআইডি কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল গত ২৯ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন।

অন্য দিকে চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২ আগস্ট তিনি বিশ্বনাথ থানায় একটি জালিয়াতি মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ২)। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিআইডি পরিদর্শক রোকেয়া খানম জমির আলী ও তফুর আলীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জমির আলী বলেন, তার চাচাতো বোন তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, যা সত্য নয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.