Sylhet Today 24 PRINT

আদালতে সাইফুর-অর্জুন

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণের মামলার প্রধান আসমি সাইফুর রহমান ও আরেক আসামি অর্জুন লস্করকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে কড়া পুলিশি পাহারায় তাদের আদালত প্রাঙ্গণে নেয়া হয়।

এর আগে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সাইফুরকে সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে ও অর্জুনকে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে তাদের আদালত চত্বরে নেয়ার সাথে সেখানে উপস্থিততরা ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং তাদের ধিক্কার জানান উপস্থিত জনতা।

জানা যায়, রোববার ছাতক পুলিশের একটি দল উপজেলার সুরমা নদীর খেয়াঘাট এলাকায় নজরদারি করছিল। সাইফুরকে ভোর ছয়টা থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা খেয়াঘাট পার হয়ে অপেক্ষা করতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। কাছে যেতেই বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া সাইফুরের ছবির সঙ্গে তার মিল পাওয়া যায়। তখন তাকে নাম জিজ্ঞেস করা হয়। এতে তিনি সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় ভোর ছয়টার দিকে সাইফুরকে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। থানায় তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে সাইফুরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ছাতক থানা থেকে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে মাধবপুর সীমান্ত থেকে থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ধর্ষণ মামলার আরেক আসামি অর্জুন লস্কর গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ধর্ষণের ঘটনার পর এমসি কলেজ ছাত্রাবাস থেকে পালিয়ে জকিগঞ্জে নিজের বাড়িতে যান অর্জুন। পরের দিন বিকেলে জকিগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। সেখান থেকে তিনি জকিগঞ্জের বাড়িতে এক ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। ভাইয়ের সঙ্গে একাধিকার তার যোগাযোগ করার তথ্য পায় গোয়েন্দা পুলিশ। সকালে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মাধবপুরের মনতলা এলাকায় পৌঁছায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অর্জুনের অবস্থান শনাক্ত করে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মনতলা গ্রামে অর্জুনের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে নগরীর শাহপরাণ থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে এজাহারে ছয় আসামির নাম রয়েছে, তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রয়েছে। নাম থাকা আসামিদের ছয়জনই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। তারা হলেন- সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান।

এদের মধ্যে সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।




টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.