Sylhet Today 24 PRINT

বন্ধের সময়ে ছাত্রাবাস খোলা কেন, খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায়  শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেছেন, করোনা সংক্রমণের কারণে সাড়ে ছয় মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কিভাবে ছাত্রাবাস খোলা থাকে এবং সেখানে ছাত্ররা অবস্থান করে তা খতিয়ে দেখা হবে।

তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনার মূল তদন্ত করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা দেখবো কলেজ প্রশাসনের কোনো গাফিলতি ছিলো কী না, নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি ছিলো কী না- এসব খতিয়ে দেখা হবে। এজন্য সংশ্লিস্ট সকলের সাথে কথা বলবো। প্রয়োজনে নির্যাতিত তরুণীর সাথেও কথা বলবো।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ( কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরী জানান, কমিটি তিনদিনের মধ্যে প্রাথমিক ও এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের ঘটনাস্থল এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন শাহেদুল খবির চৌধুরী।

এরআগে বিকেল ৫টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত ৩ সদস্যদের তদন্ত কমিটি এমসি কলেজে এসে পৌঁছে। এসময় তারা প্রায় একঘন্টা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও কলেজ গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যদের সাথে বৈঠক করেন।

বিজ্ঞাপন



এরপর ছাত্রাবাসে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। ছাত্রাবাসের নবনির্মিত ভবনসহ বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন। এসময় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন তারা।                      

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষও কলেজের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আনোয়ারুজ্জামানকে প্রধান করে ৩ সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।

এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনায় এজাহারভূক্ত পাঁচজনসহ এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.