নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
প্রায় ১৪৪ একরের এমসি কলেজে আয়তন অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট নেই। এছাড়াও অপ্রতুল সীমানা প্রাচীর, আলোর স্বল্পতার বিষয়টিও নিরাপত্তার ব্যঘাত ঘটেছে।
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শহিদুল কবির চৌধুরী এমনটি বলেছেন।
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। দুইদিন সিলেটে থেকে বিভিন্নজনের সাথে আলাপের পর আজ রাতেই তারা ঢাকায় ফিরে যাবেন। আগামীকাল মন্ত্রনালয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে তদন্ত দল।
সিলেট ছাড়ার আগে বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিং করে তদন্ত দল। এসময় শহিদুল খবির চৌধুরী এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
করেনাকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাত্রাবাস খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রাবাস বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। এই সময়ে ছাত্রাবাস খোলা রাখার সুযোগ নেই। এ বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লখ করা হবে জানান তিনি।
এছাড়াও হোস্টেলের কক্ষে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টিও তারা অবগত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
শহিদুল কবির চৌধুরী আরও বলেন, তদন্ত কমিটি পুলিশ, কলেজ প্রশাসন, নির্যাতিতাা নারী ও তার স্বামীর সাথেও কথা বলেছেন। তারা মূলতঃ এঘটনায় প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ও অবস্থান বিষয়ে তদন্ত করছেন বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে।
এর আগে বুধবার বিকেলে এমসি কলেজ ক্যাম্পাস ও হোস্টেল সরেজমিনে পরিদর্শণ করেন তিনি।